মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন এবং মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কূটনীতিকরা উত্তর রাখাইন রাজ্যে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
সফরকালে কক্সবাজারে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি এবং পুনর্বাসন পরবর্তী প্রচেষ্টা সম্পর্কে মিয়ানমারের ইউনিয়ন মন্ত্রী তাদের অবহিত করেন।
মিয়ানমারের ইউনিয়ন মন্ত্রী এবং রাখাইন রাজ্যের স্থিতিশীলতা, শান্তি ও উন্নয়ন কর্ম সমন্বয় কমিটির সহ সভাপতি-১ কো কো হ্লাইং তাংপিওলেটওয়াল অভ্যর্থনা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তারা রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপে প্রত্যাবাসন কেন্দ্রও পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরও বিলম্ব পুরো অঞ্চলকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে: বাংলাদেশ সরকার
মিয়ানমারের গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা নির্মিত বাড়িঘর ও জমির প্লট পরিদর্শন করতে দক্ষিণ কিয়েনচাউং গ্রামেও যান, যেখানে ফেরত আসাদের পুনর্বাসন করা হবে।
হ্লাফোখাউং ট্রানজিট ক্যাম্পে পৌঁছানোর পর তারা প্রত্যাবর্তনকারীদের অস্থায়ী অবস্থান এবং মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত প্রস্তুতির প্রতিবেদন শুনেছেন।
সরকার এ বছরই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়।তিন হাজারের বেশি রোহিঙ্গার একটি তালিকা মিয়ানমারকে দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে চায়, পরিবারগুলো যেন বিচ্ছিন্ন না হয়।
বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল এখন মিয়ানমার সফর করছে। এরপর মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল শিগগিরই রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বাংলাদেশে আসবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে শক্তিশালী সমর্থন চায় বাংলাদেশ