র্যাব এর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, র্যাব এখন অনেক ম্যাচিউরড। র্যাব এর জবাবদিহিতা অনেক বেড়েছে।
র্যাব এর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে তিনি বলেন, র্যাব এর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে, সেসময় র্যাবও কিছু কাজ উল্টাপাল্টা করেছে। তবে র্যাব এখন অনেক ম্যাচিউরড। র্যাবের জবাবদিহিতা অনেক বেড়েছে।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
উদাহরণস্বরূপ, তিনি নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় র্যাব সদস্যের ফাঁসির কথা উল্লেখ করেন।
এছাড়াও মন্ত্রী জানান, ২৭০ জনের মতো র্যাব সদস্যের চাকরিতে পদাবনতি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকায় এসে বিএনপির সঙ্গে কেন বৈঠকে বসেননি এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তা বিএনপিকেই জিজ্ঞাসা করুন।
তিনি বলেন, ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে এসেছিলেন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত ও দৃঢ় করতে। যেসব কাজে এ সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে, তিনি সে চেষ্টা করেছেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন কর্মকর্তাদের 'ঘন ঘন সফর' ইতিবাচক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোমেন আরও বলেন, আমরা তাদের বলেছি যে আমাদের কিছু দুর্বলতা আছে, উনিও তাদের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেছেন। বলা যায় আমরা একই পর্যায়ে আছি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে খুব ইতিবাচক ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। তারা আমাদের ওপর সন্তুষ্ট, আর আমরাও তাদের ওপর সন্তুষ্ট।
তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন চান যে আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও আমেরিকার সম্পর্ক আরও উন্নত হয়। আর আমরা এখন একটা বড় অর্থনীতিতে পরিণত হচ্ছি। আমরা এখন বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতি। তাই তারা আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায়।
আমেরিকা ও বাংলাদেশের মূল্যবোধ ও মূলনীতি একই জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা গণতন্ত্র চায়, আমরাও গণতন্ত্র চাই। আমরা গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছি। তারাও মানুষের অধিকার চায়, আমরাও চাই।
তিনি বলেন, কিছু ক্ষেত্রে ব্যত্যয় হয়, তা অনেক বড় কিছু না। আমরা তাদের জানিয়েছি যদি আপনাদের কোনো সমস্যা থাকে, আপনারা আমাকে জানান। আমি মনে করি ডোনাল্ড লু এর এই সফর অত্যন্ত ইতিবাচক। আমরা তাদের প্রতি ও পিটার হাসের প্রতি সন্তুষ্ট।
পিটার হাসের বিষয়ে তিনি বলেন, অর্থনীতির বিষয়ে তিনি একজন বিশেষজ্ঞ। আমাদের মূল ককাস হলো-অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। এ বিষয়ে তিনি আমাদের সাহায্য করতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে উগ্রবাদীদের উত্থানের ভয় করে, এ কারণেই কি সম্পর্কটাকে তারা আরও ঘনিষ্টভাবে এগিয়ে নিচ্ছে-এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাস দমনে আমরা বিশ্বে প্রথম। আমরা এ ব্যাপারে খুব সফল। ২০১৭ সালের পর থেকে কোনো সন্ত্রাসী হামলা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে খুব কঠোর, আমরাও খুব কঠোর। বলা চলে এক্ষেত্রে আমাদের মনোভাব একই।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো সুপারিশ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মোমেন বলেন, না এখনও কোনো সুপারিশ আসেনি। তবে আমরা আমাদের দুর্বলতাগুলো দূর করার চেষ্টা করছি। তবে লেবার ইউনিয়ন নিয়ে আমাদের সমস্যা আছে। এ বিষয়টার ওপর আমাদের কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ অনেক কাজ করেছেন্, তবে আইনি বিষয়ে এখনও কিছুটা গ্যাপ আছি। আমরা এগুলোর সমাধান করবো।
আরও পড়ুন: 'মানবাধিকার সম্মানে' র্যাবের 'অসাধারণ অগ্রগতি': মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ
অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী