ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার প্রধান আসামি আল আমিনকে বুধবার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার র্যাব-৩ এর সিনিয়র এএসপি (মিডিয়া) ফারজানা হক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি দল ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. আল আমিনকে (৩২) গ্রেপ্তার করে।
র্যাব জানায়, গত ২৪ মার্চ র্যাব হেফাজতে মারা যাওয়া নওগাঁ ভূমি অফিসের সহকারী সুলতানা জেসমিনের একজন ‘সহায়ক’ এই আল আমিন।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আল আমিন ও তার দলের সদস্যরা রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব মো. এনামুল হকের একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে বেকার যুবকদের সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।’
এতে বলা হয়,পরে ওই কর্মকর্তা বিষয়টি জানতে পারলে তিনি আল আমিন ও তার সহযোগী সুলতানা জেসমিনের বিরুদ্ধে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। সুলতানা জেসমিনকে গত ২৩ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: জেসমিনকে উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে র্যাবের জুরিসডিকশন নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মামলা দায়েরের পর থেকে গ্রেপ্তার আসামিকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয় এবং একপর্যায়ে তিনি র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন।
আল আমিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই চক্রের অন্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আল আমিন একজন মোবাইল ব্যাংকিং এর এজেন্ট। তিনি উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে জালিয়াতি করে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য একটি গ্রুপের সঙ্গে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না: মোমেন