মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান মো. মোশতাফ হাসান বলেন, ‘দেশে লবণের কোনো ঘাটতি নেই। বর্তমানে দেশে চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি লবণ মজুত রয়েছে। লবণের সংকট রয়েছে বলে অনলাইন মিডিয়ায় একটি মহল বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, দেশে বর্তমানে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টনের বেশি লবণ মজুত রয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে লবণ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রেকর্ড ১৮.২৪ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদিত হয়েছে।
বিসিক চেয়ারম্যান আরও জানান, লবণ চাষিদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সরকারের সার্বিক সহায়তার ফলে লবণ উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
লবণ সংক্রান্ত বিষয়ে তদারকির জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিসিকের প্রধান কার্যালয়ে ইতিমধ্যে একটি কন্ট্রোল রুম (০২-৯৫৭৩৫০৫, ০১৭১৫-২২৩৯৪৯) খোলা হয়েছে।
এদিকে শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে ৬.৫ লাখ মেট্রিক টনের বেশি লবণের মজুত রয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের লবণ চাষিদের কাছে ৪.৫ লাখ মেট্রিক টন এবং বিভিন্ন লবণ মিলের গুদামে ২.৪৫ লাখ মেট্রিক টন লবণ মজুত রয়েছে। চলতি মাস থেকে লবণের উৎপাদন মৌসুম শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলায় উৎপাদিত নতুন লবণও বাজারে আসতে শুরু করেছে।
সারাদেশে বিভিন্ন লবণ কোম্পানির ডিলার, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণ মজুত রয়েছে বলেও জানিয়েছে সরকার।
শিল্প মন্ত্রণালয় আরও জানায়, দেশে প্রতি মাসে ভোজ্য লবণের চাহিদা কম-বেশি ১ লাখ মেট্রিক টন। অন্যদিকে লবণের মজুত আছে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন। সে হিসাবে লবণের কোনো ধরনের ঘাটতি বা সংকট হবার প্রশ্নই ওঠে না।
সরকার বলছে, একটি স্বার্থান্বেষী মহল লবণের সংকট রয়েছে এমন গুজব রটনা করে অধিক মুনাফা লাভের আশায় লবণের দাম অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
এ ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।