মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে সংগঠিত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় লুট করা ৭টি মোবাইল এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) নোবেল চাকমা জানান, গত ৩১ মে রাতে কমলগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি চা বাগান সংলগ্ন বাঘরাবাড়ি এলাকায় ১০ থেকে ১৫ জনের একটি ডাকাত দল রাস্তায় গাছ ফেলে বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ও চালকদের মারধর করে নগদ টাকাসহ অন্যান্য মালামাল লুটপাট করে।
তিনি বলেন, সোর্স ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত জাহান আহমেদ রাজু, মহরম আলী ও সালাম মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোরে কমলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কানাইদেশী গ্রামে অভিযান চালিয়ে জাহান আহমেদ রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার হেফাজত থেকে ৩১ মে রাতে লুটকরা একটি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেদিন সকালে কমলগঞ্জের বনগাঁও এলাকা থেকে জড়িত ডাকাত দলের আরেক সদস্য মহরম আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার হেফাজত থেকেও একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৩ জুন রাতে ডাকাতদের বহনকারী ও দলের অন্যতম সদস্য সিএনজি চালক সালাম মিয়াকে শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও স্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অভিযান পরিচালনার সময় একটি ব্যাগে পরিত্যক্ত অবস্থায় লুট করা আরও ৫টি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের আরও কিছু সদস্যকে শনাক্ত করা হয়েছে। হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকা থেকে এসে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় এরা বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির, শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম।