লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করায় ঘরবাড়ি ও ফসলহানির আশঙ্কায় দিনযাপন করছেন বাসিন্দারা।
গত সপ্তাহে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে নদীতীরে বসবাসকারী কয়েক হাজার পরিবার জলাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়েছে। এ সময় কয়েকশ’ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কিন্তু বন্যার পানি কমতে শুরু করলে নদীর বাম পাশে সাত থেকে আট পয়েন্টে ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করায় তাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ফের তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
গত কয়েকদিনে ভাঙনে ২৫ থেকে ৩০টি ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও বেশ কিছু স্থাপনা ভাঙনে তলিয় গেছে। এতে অনেক পরিবারকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হচ্ছে।
অনেকেই রাস্তার পাশে ও বন্যা রক্ষা বাঁধের কাছে আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছে।
এদিকে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্ধন ও গরিবুল্লাটারি গ্রামের বাসিন্দারা মঙ্গলবার রাতে বেড়িবাঁধের পাশে তীব্র ভাঙন দেখতে পান। মসজিদসহ বেশ কিছু স্থাপনা নদীতে চলে গেছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপরে, কুড়িগ্রামে বন্যার আশঙ্কা
ভাঙনে ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়ায় রবিউল, ভুট্টু ও ইয়াকুব আলীর পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে কোনো পদক্ষেপ না নিলে বেড়িবাঁধও নদীতে চলে যাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নদীর ধারে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণেরও দাবি জানান তারা।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, নদী তীরবর্তী সাত-আটটি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে এবং স্প্যার বাঁধ-২-এ ভাঙন মারাত্মক রূপ নিয়েছে।
তারা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
দুর্গত এলাকা পরিদর্শন শেষে আদিতমারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জি আর সারোয়ার বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং তালিকা অনুযায়ী সহায়তা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে স্প্যার বাঁধ রক্ষায় ভাঙন রোধের জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের জানানো হয়েছে।