শনিবার (১ জুন) থেকে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে সব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য রেশন আংশিকভাবে বাড়াচ্ছে। প্রতি মাসে জনপ্রতি ১০ মার্কিন ডলার থেকে ১১ মার্কিন ডলার করা হচ্ছে। যা এ বছরের দ্বিতীয় বৃদ্ধি এবং আগস্টের মধ্যে ১২ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারের সম্পূর্ণ রেশনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি চলতি বছরের শুরু থেকেই খাদ্য সহায়তা প্যাকেজে পুষ্টিচাল অন্তর্ভুক্ত করেছে ডব্লিউএফপি। স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা ও ফর্টিফাইড এ চালে নিয়মিত চালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে। এতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে যা মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্ধিত এই সহায়তা ইতোমধ্যেই কক্সবাজারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শতভাগ মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে।
আরও পড়ুন: স্কুল ফিডিং কর্মসূচি সম্প্রসারণে ডব্লিউএফপি'র সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি
বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্ক্যালপেল্লি বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব পূর্ণ রেশনে ফিরে আসা জরুরি। এটি কেবল তাৎক্ষণিক দুর্ভোগই দূর করবে না; সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আশ্রয়, রান্নার জ্বালানির মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির ওপর চাপও কমাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানাই। শুধু তহবিল সংগ্রহ নয়, বরং অক্লান্ত প্রচারণার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটকে তাদের সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডায় শীর্ষে রাখার জন্য প্রতিটি পর্যায়ে তাদের প্রচেষ্টা মানবিকতার সর্বোত্তম উদাহরণ। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়ে স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের সহায়তা একান্ত প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে বাংলাদেশের 'ব্যাপক সাফল্যের' প্রশংসা ডব্লিউএফপি’র