দাবি আদায়ে দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে শনিবার পর্যন্ত অবরোধ স্থগিত করেছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা।
এ সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাসেল জানান, বিকেল ৪টার দিকে মহাখালী এলাকায় অটোরিকশার চালকরা রাস্তা ছেড়ে যান। এতে কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাফিক চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নুল আবেদীন জানান, প্রতিবাদকারীরা মহাখালী এলাকায় রেলপথ থেকে উঠে যাওয়ার পর, বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ঢাকার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন এলাকার ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে অটোরিকশার চালকরা। এর মধ্যে রাজধানীর মহাখালী, বসিলা, ঢাকা উদ্যান, মিরপুর-১০, মিরপুর-১২, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, গোলচত্বর ও আগারগাঁও এলাকা রয়েছে।
অবরোধ কর্মসূচির কারণে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
এছাড়া আন্দোলনকারী চালকেরা একই সময়ে মহাখালী এলাকায় রেললাইন অবরোধ করায় ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এদিকে, রাজধানীর সড়কে হঠাৎ অরাজকতার কারণে মানুষ তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য মেট্রো রেল স্টেশনগুলোতে ভিড় জমায়।
তিন দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করতে মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের আদেশের প্রতিবাদে তারা মহাখালী, মিরপুর, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া এলাকায় বিক্ষোভ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।
ঢাকা শহরে প্রায় ১০ লাখ রিকশা চলাচল করছে। এর একটি বড় অংশ ব্যাটারিচালিত। পুরোনো প্যাডেল রিকশাকে যান্ত্রিক করার জন্য ব্যাটারি লাগানো হচ্ছে।