সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রজ্ঞাপন না থাকলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদকে 'বীরশ্রেষ্ঠ' বলে সম্বোধন করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ ছিলেন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রথম শিক্ষার্থী।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাল্টিপারপাস হলে ফাইন্যান্স অ্যাক্ট ২০২৪-এর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থার পরিবর্তনসমূহ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রথমেই শ্রদ্ধা জানাচ্ছি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীরশ্রেষ্ঠ, শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি। একই সঙ্গে সকল শহীদদের প্রতি, বিশেষ করে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ আবু সাঈদ এবং ২০২৪ সালের জুলাই মাসের বিপ্লব এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় অন্যান্য শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম লুৎফুল আজিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে কর নীতির সদস্য এ কে এম বদিউল আলম, কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার সদস্য জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ বক্তব্য দেন।
বীরশ্রেষ্ঠ (সবচেয়ে সাহসী বীর) বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক পদক। সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, যারা অত্যন্ত সাহসিকতা প্রদর্শন করেছিলেন এবং তাদের জাতির জন্য কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
অন্য তিনটি বীরত্বসূচক পদককে গুরুত্বের ক্রমানুসারে বীর উত্তম, বীর বিক্রম ও বীর প্রতীক বলা হয়। এই সমস্ত উপাধি মুক্তিযুদ্ধের পরপরই চালু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কালো টাকা সাদা করা 'অশোভন ও অগ্রহণযোগ্য': এনবিআর চেয়ারম্যান
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী বাংলাদেশের সাত বীরশ্রেষ্ঠ হলেন-
১. বীর শ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান
২. বীর শ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
৩. বীর শ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ
৪. বীর শ্রেষ্ঠ সিপাই মো. মোস্তফা কামাল
৫. বীর শ্রেষ্ঠ সিপাই মো. হামিদুর রহমান
৬. বীর শ্রেষ্ঠ ইঞ্জিন রুম আর্টিফাইসার রুহুল আমিন
৭. বীর শ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ
আরও পড়ুন: রিটার্ন দাখিল না করা বাড়ি-ফ্ল্যাট মালিকদের খুঁজে বের করা হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান