শনিবার খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ‘ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা নীতি ২০১৫’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত বিভাগীয় কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রমমুক্ত শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে জনসচেতনতার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে তার মন্ত্রণালয় ২৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে এক লাখ শিশুকে টার্গেট করে ছয় মাসের অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং চার মাসের প্রশিক্ষণ দিয়ে শিশুশ্রম হতে প্রত্যাহার করা হবে। এ এক লাখ শিশুর বাবা-মাকে প্রতিমাসে এক হাজার এবং প্রশিক্ষণ শেষে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য এককালীন ১৫ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের বাবা-মা এবং কারখানার মালিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের নিয়োগ দিয়ে তাদের আলোকিত ভবিষ্যত নষ্ট করবেন না।’ প্রতিমন্ত্রী গৃহকর্মীদের বিষয়ে মানবিক হওয়ার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান।
কর্মশালায় জানানো হয়, সরকার ঘোষিত ৩৮টি ঝুঁকিপূর্ণ কাজের মধ্যে ১১টি খাতকে শিগগিরই শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করতে কাজ করছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।
ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে খুলনা বিভাগের ৫৯টি উজেলার মধ্যে ৫০টি উপজেলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া খুলনা জেলায় শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিশুদের ডাটাবেজ তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে বলে জানানো হয় অনুষ্ঠানে।