সুদের হার বাড়িয়ে মেয়াদি (শিল্প) ঋণ ও গৃহনির্মাণ ঋণের কিস্তির বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংক ঋণের সুদ নিরূপণের নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করে ঋণের কিস্তির টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি গ্রাহকদের সমস্যায় ফেলবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ঋণের কিস্তির টাকার পরিমাণ না বাড়িয়ে প্রতিটি ঋণের কিস্তির সংখ্যা পুনঃনির্ধারণের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: গত ১০ মাসে ১৩০.৬ মিলিয়ন ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছে বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশিরা
নির্দেশনা অনুসারে, প্রতিকূল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, স্মার্ট এবং বাজার ভিত্তিক উভয় সুদের হার ২০২৩ সালের ১ জুলাইয়ের আগে নির্ধারিত সুদহারের চেয়ে বেশি এবং শিল্প উদ্যোগ এবং স্বতন্ত্র বাড়ি নির্মাণ ঋণগ্রহীতাদের প্রদেয় কিস্তির পরিমাণ বেড়েছে। এতে সমস্যায় পড়ছেন গ্রাহকরা।
শিল্পায়ন ও রপ্তানির ধারা অব্যাহত রাখতে এবং সীমিত আয়ের ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা ধরে রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য কিস্তির টাকার পরিমাণ না বাড়িয়ে বিদ্যমান মেয়াদি ঋণ ও গৃহনির্মাণ ঋণের কিস্তি পুনঃনির্ধারণের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ অবস্থায় ২০২৩ সালের ১ জুলাইয়ের আগে বিতরণ করা মেয়াদি শিল্প ঋণ ও স্বতন্ত্র ঋণের কিস্তি আদায়ের বিষয়ে কিছু নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নির্দেশনা অনুযায়ী, কিস্তি আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় সময়সীমা বাড়ানো যাবে। এ ধরনের আদায়ের ক্ষেত্রে সময় বৃদ্ধি বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর ১৬/২০২২ অনুযায়ী ঋণ নবায়ন হিসেবে গণ্য হবে না।
আরও পড়ুন: মে মাসে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪.১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার