প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের মন ও মেধাকে ফুটিয়ে তুলতে তাদের মধ্যে খেলাধুলা ও খেলাধুলার প্রসারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের মধ্যে খেলাধুলা এবং খেলাধুলা যত ছড়িয়ে দিতে পারবো আমাদের শিশুদের মন এবং প্রতিভা ততই বিকাশ লাভ করবে। তাদের শারীরিক স্বাস্থ্য আরও উন্নত হবে এবং তাদের মন উদার হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ ইয়ুথ গেম-২০২৩ এর ফাইনাল রাউন্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
বনানীর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে ০২ থেকে ২২ জানুয়ারি-২০২৩ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত আন্তঃ-উপজেলা ও আন্তঃজেলা পর্বের সফল সমাপ্তির পর সপ্তাহব্যাপী ফাইনাল রাউন্ডের পর্দা উঠানো হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলা তরুণদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি করে যা তাদের খেলাধুলা এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আরও সমৃদ্ধি ও দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, এ কারণেই তার সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আন্তঃস্কুল, আন্তঃকলেজ, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতা চালু করেছে। ‘সুতরাং, আমাদের দেশে খেলাধুলা যথেষ্ট সমৃদ্ধ হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি বলেন, তার সরকার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি দক্ষ খেলোয়াড় তৈরির মাধ্যমে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে চায়।
‘আজকে আমাদের লক্ষ্য একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা’ উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট খেলোয়াড় তৈরি করবে যাতে বাংলাদেশ যেকোনো বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।
তার পরিবারের সদস্যদের বিশেষ করে শেখ কামালের অবদানের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা কামালকে একজন বহুমুখী ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেন। কামাল একাধারে ক্রিকেট, ফুটবল, হকিসহ বিভিন্ন খেলায় জড়িত ছিলেন।
তিনি বলেন, তিনি (শেখ কামাল) আবাহনী ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলা ও খেলাধুলায় আরও ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তার প্রতিভা প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছাপিয়ে গেছে। তিনি এখানে আধুনিক ফুটবল খেলার সূচনা করেছিলেন, আবাহনী ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’
হাসিনা বলেন, ভবিষ্যৎ ক্রীড়া তারকাদের খুঁজে বের করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এই যুব খেলা একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।
১৯৩টি স্বর্ণ, ১৯৩টি রৌপ্য এবং ১৮৭টি ব্রোঞ্জের জন্য প্রায় ৪০০০ (অনূর্ধ্ব-১৭) প্রতিশ্রুতিশীল ক্রীড়াবিদ মেগা স্পোর্টস ইভেন্টের চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিচ্ছে।
এদিকে, শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমস ২০২৩-এর পুরুষ ও মহিলা উভয় ফুটবল প্রতিযোগিতাই রাজধানীর দুটি শহরের পৃথক ভেন্যুতে মিটের উদ্বোধনী দিনে অনুষ্ঠিত হয়।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সভাপতি জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিওএ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহেদ রেজা।
বিওএ প্রথমবারের মতো ২০১৮ সালে যুব গেমসের আয়োজন করে। গেমসের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন শাখায় জাতীয় দলের জন্য ভবিষ্যত খেলোয়াড় নির্বাচন করা এবং তরুণ ক্রীড়াবিদদের প্রতিভা তৈরি করা।