শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, যে কোনো প্রযুক্তির ভালো-মন্দ সব দিকই আছে। আমাদের প্রযুক্তিবান্ধব ও দক্ষ হতেই হবে। যুগের চাহিদা ও আমাদের ভবিষ্যতের চাহিদা তাই। সেজন্যই আমাদের শিশুদের একদম শৈশব থেকেই প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, কম বয়স থেকেই শিশুদের কোডিং, প্রোগ্রামিং শিখাতে হবে। তা না হলে এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে তারাও টিকে থাকতে পারবে না। অথচ আমরা চাই- তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হবে। সে কারণে অবশ্যই প্রযুক্তি লাগবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শিক্ষক,অভিভাবকসহ সবারই একটা নজরদারির ব্যাপার আছে। এটি তো থাকতেই হবে। আমরা যেমন পড়াশোনার ক্ষেত্রে নজরদারি করি,তেমনি করে তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে যখন পড়াশোনা করছে,সেখানেও একটা নজাদারির বিষয় আছে। কাজেই আমাদের দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের রাজনীতি সচেতন হওয়ার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
বুধবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সদর উপজেলার নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অতিমারি এমন একটি বাস্তবাতা যেটিকে আমাদের স্বীকার না করার কোনো সুযোগ নেই। এর ফলে বিশ্বব্যাপী সব ক্ষেত্রের মতো শিক্ষাক্ষেত্রেও ধাক্কা লেগেছে। এখন সবারই চেষ্টা আগামী শিক্ষাবর্ষে সম্ভব হলে, যদি অতিমারির ছোবল সেখানেও না পড়ে, তাহলে আমরা সেখানে এ ঘাটতিটুকু পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবো। সে রকম পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ শতাংশ পাঠ্যবই প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যাবে: শিক্ষামন্ত্রী