শিক্ষামন্ত্রী
ধাপে ধাপে খোলা হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: শিক্ষামন্ত্রী
দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে খোলা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা জননিরাপত্তা এবং ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে চাই।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা এর আগেও বলেছি- যারা নিরাপরাধ শিক্ষার্থী এবং যারা শান্তিপূর্ণভাবে এ আন্দোলন অংশগ্রহণ করেছে তারা কেউই যাতে কোনো ধরনের প্রশাসনিক হয়রানির শিকার বা আইনি জটিলতায় না পড়েন এই ঘোষণা দিয়েছি।
যেসব শিক্ষার্থী বা অভিভাবকরা যদি মনে করেন তারা নিরপরাধ তারা অবশ্যই সেটা নিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা সরাসরি তাদেরকে সকল ধরনের সহযোগিতা দেব। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে অবশ্যই সেগুলো বলা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রশ্নে আমরা বারবার বলছি সবার আগে জননিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা সকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে চাই। প্রাথমিক শিক্ষার জন্য আমাদের যে বিদ্যালয়গুলো আছে এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো আছে সেগুলোও নিরাপত্তা ঝুঁকি নিরূপণের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। এই মুহূর্তে আমরা প্রতিদিন নিরাপত্তা ঝুঁকি নিরূপণ করছি। এগুলো বিবেচনায় নিয়েই আমরা যথাসময়ে জানাব।
অনলাইনে ক্লাসের শুরুর বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট যেহেতু সচল হয়েছে সেহেতু আমরা এই বিষয়টি বিবেচনায় নেব। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি। বেসরকারি কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করছে। সেটা আমরা যথাসময়ে জানিয়ে দেব। এইচএসসি পরীক্ষা কখন হবে সেটাও আমরা যথাসময়ে জানিয়ে দেব৷
এর আগে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কারফিউ, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ, চলমান বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসে ৭ মন্ত্রী ৪ সচিব এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী,আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আলোচনায় যোগ দেন। এছাড়া বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও জননিরাপত্তা বিভাগের দুই সচিবও বৈঠকে ছিলেন।
এছাড়া আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং র্যাব, বিজিবি ও আনসারপ্রধান সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও মৌন মিছিল
৪ মাস আগে
এই মূহুর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি নেই: শিক্ষামন্ত্রী
এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
সোমবার (২৯ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম ইস্যুতে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন।
এদিনও কিছু শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমেছে, এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা এগিয়ে নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
‘এই মহূর্তে সেই পরিস্থিতি তো নেই। আর আপনারা যেমনটি বলছেন- কয়েকজন নেমেছে। কয়জন নেমেছে বা কী হয়েছে- সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমাদের কাছে তথ্য নেই। তথ্য পেলে আমরা জানাতে পারব।’
প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করব না। মন্ত্রিসভায় কী আলোচনা হয়েছে, সেটি নিয়ে বাইরে আলোচনা করা যায় না।’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান দেশের ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আগে, এই ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তাদের বৈঠকও হয়। কিন্তু সে বৈঠকে সমাধান না আসায় আন্দোলন চালু রাখেন তারা।
আরও পড়ুন: পেনশন ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষকরা
নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
৪ মাস আগে
পেনশন ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষকরা
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাগাতার সর্বাত্মক কর্মবিরতির পর অবশেষে তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
সোমবার (২৯ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে এ বৈঠক শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৃত্তি কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছি। এর মাধ্যমে আলোচনার শুরু হলো। পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হবে- সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। এখানে তো আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। কারণ আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয় আছে, আরও অন্যান্য কর্তৃপক্ষ আছে। এখানে কিছু বিষয়ে আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান দেশের ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আগে, এই ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তাদের বৈঠকও হয়। কিন্তু সে বৈঠকে সমাধান না আসায় আন্দোলন চালু রাখেন তারা।
আরও পড়ুন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী এডিবি
রমজানে ২৫ মার্চ পর্যন্ত খোলা থাকবে স্কুল: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
৪ মাস আগে
নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বুধাবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘তাড়াহুড়ো করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে আবার সমস্যা সৃষ্টি করা ঠিক হবে না। আগে পরিবেশ তৈরি করা হবে। শিক্ষার পরিবেশ তৈরি হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হবে।’
বারবার আল্টিমেটামের ঘোষণা দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে নওফেল বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রায় দিয়েছেন এবং রায় অনুযায়ী সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।’
তিনি বলেন, 'বর্তমানে মূল দুশ্চিন্তার বিষয় এইচএসসি পরীক্ষা। ২৫ জুলাই অনুষ্ঠেয় এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। নতুন তারিখ পরে জানানো হবে।’
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত সব শিক্ষা বোর্ডের ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ২৮ জুলাই থেকে অন্যান্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠেয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা এগিয়ে নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
৫ মাস আগে
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
সর্বজনীন পেনশন (প্রত্যয়) স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কর্মবিরতির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, শিক্ষকদের এ আন্দোলনের দিকে নজর রাখছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে যথাসময়ে মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (৩০ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে কর্মবিরতির মাধ্যমে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় অচল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা। ১ জুলাই থেকে শিক্ষকদের এ কর্মবিরতি শুরু হচ্ছে।
শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে সেশনজটে পড়লে মন্ত্রণালয় কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তাদের দাবি-দাওয়া আদায়ে তারা আন্দোলন করছেন। সেই অধিকার তাদের আছে। অনেকে বলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণ করে সরকার। এ আন্দোলনের মাধ্যমে তো এটা বোঝা যাচ্ছে যে, তারা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিষয়টির দিকে নজর রাখছি। এখনো সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু হয়নি। তাদের কর্মসূচি শুরু হোক, পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা পদক্ষেপ নেব।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সর্বজনীন পেনশনের আওতায় কারা আসবে, সেটা সরকারের নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্ত। সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেটার সঙ্গেই আছে। শিক্ষকরা দাবি-দাওয়া সরকারের কাছে জানাচ্ছেন, সরকারই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখানে কিছু করার নেই।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাজারমুখী দক্ষ জনশক্তি প্রস্তুত করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
বাস্তবমুখী হওয়ায় নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে গ্রামের অভিভাবকরা খুশি: শিক্ষামন্ত্রী
৫ মাস আগে
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাজারমুখী দক্ষ জনশক্তি প্রস্তুত করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন দেশের উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের ৯০ ভাগ শিক্ষার্থীই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এইসব শিক্ষার্থীদের বিশ্ববাজারের চাহিদা উপযোগী আর দক্ষ করে গড়ে তোলার মাধ্যমে উৎপাদনশীল অর্থনীতি তৈরির লক্ষ্যে কাজ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা ইনস্টিস্টিউটে ‘স্মার্ট অর্থনীতি বিনির্মাণে স্মার্ট শিক্ষা ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এই প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক উজ্জ্বল অনু চৌধুরী এবং এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী সম্পাদিত ‘Blended Learning in Smart Education: Perspectives from South Asia’ শীর্ষক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
প্যানেল আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, উচ্চশিক্ষায় গতানুগতিক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন করে বিশেষায়িত দক্ষতা প্রদান করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন তাদের অর্জিত জ্ঞান বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারে সেই লক্ষ্যে শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগে শিক্ষাক্রমের রূপান্তর করা হচ্ছে। একইভাবে শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মতে শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে রূপান্তর করতে হবে, যাতে বিশ্ববাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি প্রস্তুত করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে শিক্ষা, অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, একাডেমিয়া এবং ইন্ড্রাস্ট্রিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এতে করে বিশ্ববাজারের চাহিদা উপযোগী করে স্মার্ট বাংলাদেশের অর্থনীতি বিনির্মাণে দক্ষ জনবল প্রস্তুত করা যাবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিক পরিবর্তনটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আজকে একজন শিক্ষার্থী যা শিখছে ভবিষ্যতে তার প্রয়োজন নাও হতে পারে। ভবিষ্যতে নতুন যা আসবে তা শেখার মানসিকতা থাকতে হবে।
প্যানেল আলোচনায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, একাডেমিয়া এবং ইন্ড্রাস্ট্রির প্রতিনিধি দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে শিক্ষার সমন্বয় সাধনের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. এ কিউ এম শফিউল আজম ‘স্মার্ট অর্থনীতির জন্য শিক্ষা’ বিষয়ক উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
আলোচনায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজেস লিমিটেডের হেড অব এইচআর, মো. আমিনুল ইসলাম খান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিডিজবস-এর সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর। এসময় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, একাডেমিয়া ও ইন্ড্রাস্ট্রির প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাস্তবমুখী হওয়ায় নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে গ্রামের অভিভাবকরা খুশি: শিক্ষামন্ত্রী
৫ মাস আগে
শিক্ষার্থীদের কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে উপাচার্যদের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শিক্ষামন্ত্রী উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এ আহ্বান জানান।
৪৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্মরণশক্তিকে মেধা বলার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে শিক্ষা ও গবেষণা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা কর্মযোগ্যতায় অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিষয়ভিক্তিক জ্ঞানের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সরাসরি সংযোগ ঘটাতে হবে, তাদের কর্মক্ষেত্রের উপযোগী শিক্ষা দিতে হবে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার সেন্টারের মাধ্যমে বেসিক ডিজিটাল লিটারেসি, প্রয়োজনীয় সফট স্কিলস, ভাষা শিক্ষা ও যোগাযোগে দক্ষ করার আহ্বান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নব প্রতিষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে জেলার সরকারি কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর পরামর্শ দেন এবং এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবকাঠামো ও নতুন বিভাগ না খোলারও পরামর্শ দেন।
অধিভুক্ত কলেজের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য একাডেমিক মনিটরিংসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা অবকাঠামো গড়ে তোলারও আহ্বান জানান।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে কারিকুলামে বৈচিত্র্য নিয়ে আসা, শিক্ষকদের দিয়ে একাডেমিক মাস্টার প্ল্যান তৈরি, ল্যাব ও অবকাঠামো সুবিধা বিনিময় করা, গবেষণার ফলাফল বাধ্যতামূলকভাবে প্রকাশের ব্যবস্থা এবং নিজস্ব র্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করার পরামর্শ দেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন, সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার ও সফলভাবে এপিএ বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দীন মিয়া।
আরও পড়ুন: এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের পারস্পরিক বদলিতে সমস্যা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার: শিক্ষামন্ত্রী
৬ মাস আগে
এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের পারস্পরিক বদলিতে সমস্যা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের পারস্পরিক বদলিতে কোনো সমস্যা নেই। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
বুধবার (৫ জুন) এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্ন করতে গঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
এনটিআরসিএর শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এনটিআরসির প্রক্রিয়া নিয়ে উচ্চ আদালত থেকে একটি সুনির্দিষ্ট রায় আছে। সেই রায়ের আলোকে সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। সেখানে সুপারিশের আদেশ আহ্বান করা হয়। সেভাবে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘একটি মৌলিক আইনি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সেটা হচ্ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বাধীন। তারা সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত কিংবা নিয়োগ দেওয়া শিক্ষক না। প্রতিষ্ঠানে এনটিআরসি সুপারিশ করে, সেই সুপারিশ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান তাদের নিয়োগ দেয়। এছাড়া সরকার কিন্তু নিয়োগদাতা নয়। যিনি নিয়োগদাতা নন, তিনি কীভাবে একজন শিক্ষককে বদলি করতে পারেন।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকার যেহেতু নিয়োগ দিচ্ছে না, সেহেতু সরকারের পক্ষে তাদের বদলি করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। একটা বিষয় প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়েছে— পারস্পরিক বদলি। যদি সরকার সরাসরি এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকত বা সরকারের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক হতেন তারা, তাহলে বদলিটা সরকার করতে পারত।
মন্ত্রী বলেন, এখন নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সময় ইনডেস্ক ধারী শিক্ষকরা কতটুকু সেখানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন, সেটা আমরা নিশ্চিত করতে পারছি না। যেহেতু আদালতের একটি রায় আছে। আর বদলির আলোচনাটা কাঠামোগত আরও চ্যালেঞ্জের হতে পারে। যখন একজন শিক্ষক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ‘আমি একটা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করব’। তিনি নিজেই সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এখন তিনি বলছেন সেটা তার বাড়ি থেকে অনেক দূরে।
তিনি তাহলে কেন সেই সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন- প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, এখন যদি বলেন আমরা নিরুপায় হয়ে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সেটা অ্যাকোমোডেট করা, সরকারের পক্ষে, এনটিআরসির পক্ষে, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে কতটুকু করা সম্ভব, সেটা ভেবে দেখতে হবে। আর সার্বিকভাবে সব পর্যায়ে বদলি কতটুকু করা যাবে, সেটা কাঠামোগত সংস্কার না হলে সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে, প্রান্তিক পর্যায়ে মৌলিক বিষয়ে শিক্ষক থাকা নিশ্চিত করতে হবে। সব শিক্ষকই যদি শহরমুখী হয়ে যান, তাহলে গ্রামপর্যায়ের বিদ্যালয়গুলোতে মৌলিক বিষয়ে শিক্ষক আমরা পাব না।
তিনি বলেন, কারো ঠিকানা পঞ্চগড়ে, তিনি আবেদন করেছেন কিংবা সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন বরগুনায়, তার জন্য যদি এটা অর্থবহ না হয়, তাহলে এটা ছেড়ে দিয়ে নতুন একটায় ফের আসতে পারেন, সেক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। কিন্তু যেহেতু আদালতের একটি রায় আছে, সেটা মেনেই নিয়োগ ও সুপারিশ করতে হচ্ছে, সেটা মাথায় রেখেই এটা করতে হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটের বন্যাকবলিত অঞ্চলের এইচএসসি পরীক্ষা পরে নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু: শিক্ষামন্ত্রী
৬ মাস আগে
সিলেটের বন্যাকবলিত অঞ্চলের এইচএসসি পরীক্ষা পরে নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, সিলেটের যেসব অঞ্চলে বন্যা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে, সেসব অঞ্চলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পরে নেওয়া হবে।
বুধবার (৫ জুন) সচিবালয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্ন করতে গঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব স্থাপনা তৈরি করতে শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বান
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘যে অঞ্চলগুলোতে বন্যা আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে, সেখানে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। পরবর্তী সময়ে সেই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের যথাযথ প্রস্তুতি আছে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যেসব কেন্দ্র ও অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা এরই মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এছাড়া আবহাওয়ার যে পূর্বাভাস আছে, সেখানে আমাদের বিভিন্ন নদীর পানি ঊর্ধ্বমুখী ও বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। সেটা এরই মধ্যে আমরা জানি।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা বন্যা পরিস্থিতি এখনো পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করছি আমাদের পক্ষে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে। আমরা চাই না পরীক্ষার্থীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়ে তাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হোক।’
আরও পড়ুন: ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু: শিক্ষামন্ত্রী
এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার: শিক্ষামন্ত্রী
৬ মাস আগে
৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু: শিক্ষামন্ত্রী
আগামী ৩০ জুন থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।
বুধবার (৫ জুন) সচিবালয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু আজ
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার ৯১ হাজার ৪৪৮ জন পরীক্ষার্থী বেশি। এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন ও ছাত্রী ৭ লাখ ৫০৯ জন। মোট কেন্দ্র ২ হাজার ৭২৫টি ও মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩টি।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, এইচএসসিতে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন ও ছাত্রী ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন।
তিনি বলেন, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় শিক্ষার্থী ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৫৯২ জন ও ছাত্রী ৪০ হাজার ৪৮৪ জন।
তিনি আরও বলেন, এইচএসসিতে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯ জন ও ছাত্রী ৬৫ হাজার ৪২৪ জন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, এবার মোট প্রতিষ্ঠান বেড়ে ২৯৪টি ও কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭টি। বিদেশে ৮টি কেন্দ্রে মোট ২৮১ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন থেকে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন শুরু হয়ে শেষ হবে ১১ আগস্ট। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন থেকে শুরু হয়ে ১৮ জুলাই শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৯ জুলাই শুরু হয়ে ৪ আগস্ট শেষ হবে। পরীক্ষা শেষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এবার এইচএসসি পরীক্ষায় সব পরীক্ষার্থী (নিয়মিত, অনিয়মিত, মানোন্নয়ন) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণনম্বর ও পূর্ণসময়ে অংশগ্রহণ করবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু, প্রতি আসনে লড়ছেন ১০৮ জন
যেসব নিয়ম-কানুন মানতে হবে পরীক্ষার্থী-পরীক্ষকদের
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।
তিনি বলেন, পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন)।
পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক, মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা যেসব সুবিধা পাবেন
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতিলেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু ১৫ ফেব্রুয়ারি
৬ মাস আগে