ডা. দীপু মনি
বিএনপি-জামায়াতকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘বিএনপি ও জামায়াতকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। কারণ হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে তাদের জন্ম হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাজনীতির নামে অপরাজনীতি করছে।’
আরও পড়ুন: লিঙ্গ বিবেচ্য নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
শনিবার (৬ জুলাই) চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী। কিন্তু তারা বলতে চায় তারাও স্বাধীনতার পক্ষের লোক। যদি তাই হয়, তাহলে তারা কেন স্বাধীনতার বিপক্ষের লোকজন নিয়ে ঘুরেন। এছাড়া তার কেন যুদ্ধাপরধীদের বিচার বন্ধ করতে চান?
দীপু মনি বলেন, ‘আমরা ধ্বংসের রাজনীতি করি না, আমরা সৃষ্টির রাজনীতি করি। আমরা সন্ত্রাসের নয়, শান্তির রাজনীতি করি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন দেশে বিএনপি-জামায়াত নারীদের ওপর নির্যাতন নীপিড়ন করেছিল তখনই এই যুব মহিলা লীগ নামে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। তখন থেকেই এই সংগঠন আন্দোলন সংগ্রামে জোরালো ভূমিকা পালন করেছে এবং সব নির্যাতন ও নীপিড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। তারা রাজপথে একটি নজির স্থাপন করেছে।’
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অর্ধেক ভোটার নারী। তাদের পেছনে ফেলে সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না। শেখ হাসিনার কল্যাণে আজকে সব পেশায় নারীরা এগিয়ে আছে। নারীরা তাদের যোগ্যতার মাধ্যমে প্রতিটি পদক্ষেপ নিচ্ছে। নারীদের শ্রমকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।’
সংগঠনের জেলা সভাপতি ফরিদা ইলিয়াছের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আলম মিল্টন, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা মাসুদা খানম, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির মিজি, সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হায়দার সংগ্রাম।
আরও পড়ুন: আনারসের পাতার আঁশ থেকে কাপড় তৈরি যুগান্তকারী: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
৫ মাস আগে
বাবা-মাকে আর বৃদ্ধাশ্রমে দিতে হবে না: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাবা-মাকে আর বৃদ্ধাশ্রমে দিতে হবে না। প্রবীণদের জন্য পাইলট বেসিসে ডে কেয়ার সেন্টার শুরু করা হবে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাঁদপুর শহরের আল-আমিন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
আরও পড়ুন: হ্যাটট্রিক করলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ
তিনি বলেন, বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মা ঘরে একা থাকেন। অনেক সময় তারা দুর্ঘটনার শিকার হন। কর্মজীবীদের অতিরিক্ত চিন্তা নিয়ে কাজে অংশ নিতে হয়।
তাই প্রবীণদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। সেখানে প্রবীনদের জন্য বিনোদন খেলাধুলা চিকিৎসা সেবাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা থাকবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করেন। মন্ত্রী হিসেবে আমাদেরও দায়িত্ব জিরো টলারেন্স অনুসরণ করা। ঠিক আমার মন্ত্রণালয়েও সেটি অনুসরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সরকার প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে নিয়েই দেশের উন্নয়নে বিশ্বাসী: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
হতদরিদ্রের হার শূন্যের কোটায় আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
১০ মাস আগে
নতুন কারিকুলাম নিয়ে কুচক্রী মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানবিক, সৃজনশীল ও বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতাসম্পন্ন জাতি গঠনে আমাদের দেশে নতুন কারিকুলাম চালু করা হয়েছে। কিন্তু কোচিং ব্যবসায়ী, গাইড ব্যবসায়ী এবং কিছু কুচক্রীমহল নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নতুন কারিকুলামের ব্যাপারে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
এতে সব শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নতুন কারিকুলাম নিয়ে এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মহিলা সমাবেশ ও নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
হাইমচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
দীপু মনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে আমি যখন এই এলাকায় এসেছি, তখন কোনো দালান চোখে পড়ে নাই। শুধুমাত্র টিন দিয়ে তৈরি হতো ঘরবাড়ি। হাইমচরের মানুষ নদী ভাঙার আতঙ্কে অর্থবিত্ত থাকার পরও পাকা দালান করতো না। আপনাদের তিনটি দাবি ছিল নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, হাইমচর চাঁদপুর সড়ক সংস্কার, হাইমচর কলেজকে সরকারিকরণ ও ডিগ্রি কলেজে রুপান্তর।
তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় আপনাদের তিনটি দাবি পূরণ করতে পেরেছি এবং আপনাদের দাবির চেয়েও অনেক বেশি কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। তাই এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা পরিবর্তন হয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
১১ মাস আগে
আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন পিছিয়ে না থাকে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন বিশ্বের যেকোনো শিক্ষার্থীর চেয়ে এক বিন্দু পিছিয়ে না থাকে তা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশে মাদরাসা শিক্ষা যে জায়গায় পৌঁছেছে, সেটির জন্য আমরা মুগ্ধ। শিক্ষকরা মাদরাসার শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিষয়ে যেমন গড়ে তুলছেন। একইভাবে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাসহ অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তিতে ভবিষ্যতের নাগরিক তৈরি করছেন।
আরও পড়ুন: সময়মতো বই দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী: শিক্ষামন্ত্রী
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী ফাজিল মাদরাসায় শিক্ষার আধুনিকায়নে চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যারা নীতি প্রণয়ন করেন এবং যারা সিদ্ধান্ত নেন তারা অভিজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নেন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। কিন্তু সেটি কতটুকু এবং কীভাবে বাস্তবায়িত হলো, তার ফলাফল কতটা ইতিবাচক, কোনো সমস্যা আছে কি না, কী কী চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো থেকে উত্তরণের জন্য কী করণীয় আছে সেগুলোর জন্য পরামর্শ দেওয়ার কাজগুলো করতে পারেন শিক্ষকরা।
মন্ত্রী আরও বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর আপনারা আমাকে সুযোগ দিয়েছেন আপনাদের সেবা করার। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আল্লাহর রহমতে আগামীতে সুযোগ পেলেও আপনাদের সেবা করে যাব। আর মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নের বিষয়ে শিক্ষকরাই সবচেয়ে ভালো জানেন। কারণ শিক্ষকরাই সেটি বাস্তবায়ন করে আসছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহসহ বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিকভাবে আমরা অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছি: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
অর্থনৈতিকভাবে আমরা অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছি: শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেছেন, আগামীতে আমাদের অনেক স্বপ্ন ও সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এখন যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা চলছে অর্থাৎ সারা বিশ্ব এখন যে অর্থনৈতিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সেটি আমাদের মধ্যেও পড়েছে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক এ চাপের মধ্যে অন্যান্য দেশ, এমনকি অনেক ধনী দেশের তুলনায় আমরা অনেক স্বস্তিতে আছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি তিনি আমাদের সঠিক নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং শেখ হাসিনাকে আমাদের নেতা হিসেবে পেয়েছি বলে আমরা আজকে স্বস্তিতে আছি। আশা করি আগামী দিনেও শেখ হাসিনাকে সুযোগ দেবেন জনগণ।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, বৈশ্বিক এই চাপ এবং অর্থনৈতিক মন্দা কেটে গেলে আমরা আমাদের সব সম্ভাবনাকে বিকশিত করে আমাদের যে লক্ষ্য আছে সেগুলো অর্জন করতে সক্ষম হব।
মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য তরুণদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ।
তিনি আরও বলেন, এখন তিনি ঘোষণা দিয়েছেন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর আজকের তরুণ প্রজন্ম।
তিনি বলেন, আজকে যারা প্রাথমিকে ও মাধ্যমিকে পড়াশোনা করছে সেই শিক্ষার্থীদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সময়মতো বই দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, যা শিক্ষাক্রমের অংশ নয়, আমাদের প্রশিক্ষণেরও অংশ নয়, এমন ভিডিওসহ বিভিন্ন বিষয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ব্যাপক মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অতীতের কোনো প্রশিক্ষণে (যা মাধ্যমিকের নয়) প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে নিজেরা নিজেরা বিনোদনের অংশ হিসেবে নিজেরা যে প্রাকটিস করেছে সেই রকম কিছু ভিডিও সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে এইগুলো প্রশিক্ষণ। এমনকি নতুন ভিডিও তৈরি করেও ছড়িয়ে দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট সিটিজেনরাই স্মার্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রে থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠাভ্যাস উন্নয়নে দেশের ১৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩১ লাখ নির্বাচিত বই (পাঠ্যপুস্তক ছাড়া) বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ানক রকম অপপ্রচার চলছে। সেটি করা হচ্ছে— ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থ হানি হওয়ার ভয়ে। কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছেন। তার সঙ্গে এখন তো নির্বাচনের মৌসুম।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে যারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকেন, তাদের উসকানি যুক্ত হয়ে গেছে। অতি ডান ও অতি বামের উসকানিও যুক্ত হয়ে গেছে।
শিক্ষাক্রম নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে অভিভাবকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের বাচ্চারা কত নম্বর পেল; জিপিএ-৫ পেল কি না; প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হলো কি না; অন্যের বাচ্চার চেয়ে আমার বাচ্চা বেশি নম্বর পেল কিনা- এই বিষয়গুলো নিয়ে অতিমাত্রায় ব্যস্ত ছিলেন বাবা-মায়েরা।
তিনি বলেন, সে জায়গা থেকে বেরিয়ে প্রত্যেকটি কাজে সহযোগিতার জায়গায় তারা কাজ করছেন। এই বিষয়গুলোর জন্য বাবা-মায়ের কিছু সংশয় তো কাজ করছেই। সেগুলোকে এই গোষ্ঠী (মিথ্যাচারকারী) কাজে লাগাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি অভিভাবকদের বলব— একটু দেখুন, আপনার সন্তানদের দিকে তাকিয়ে দেখুন। আপনার বাচ্চা যদি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে, তাহলে তার আচার-আচরণ পরিবর্তন হয়েছে। সে কত নম্বর পেয়েছে সেদিকে নজর না দিয়ে সে শিখল কি না, সেদিকে নজর দিন। একটু ধৈর্য ধরুন।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে দেশের ৮ শতাধিক বিশেষজ্ঞ নতুন কারিকুলাম প্রনয়ণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সবাইকে কোনো না কোনোভাবে এর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওয়েবসাইটে রেখে জনগণের মতামত, পরামর্শ নেওয়া হয়েছে, সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, সবশেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে, কিছু পরামর্শসহ তিনি অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা পাইলটিং করেছি। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, সব বইকে আমরা বলছি পরীক্ষামূলক সংস্করণ, আমরা মনে করিনি— আর পরিশীলন, পরিমার্জন দরকার নেই, একবারে চূড়ান্ত। আমরা মনে করি— এই বইগুলো আরও পরিশীলন, পরিমার্জনের সুযোগ রয়েছে। সেজন্য সবার পরামর্শ গ্রহণ করছি।
আরও পড়ুন: সময়মতো বই দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
সময়মতো বই দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা এখনো আশাবাদী এবং বিশ্বাস করি সময়মতো বই দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।
এ ছাড়া বছরের শুরুতে বই পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি গণমাধ্যমে দুই রকম হেডলাইন দেখেছি। একটি বলছে- পহেলা জানুয়ারিতে বই দেওয়া যাবে কোনো শঙ্কা নেই। অপরটি বলেছে- পহেলা জানুয়ারিতে বই দেওয়া নিয়ে শঙ্কা। কীসের উপর ভিত্তি করে এই সংবাদ প্রকাশ করছেন এবং কেন করছেন (!) আমি জানি না।
আরও পড়ুন: দেশে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় চান শিক্ষামন্ত্রী
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে নতুন শিক্ষাক্রমের সংস্কার ও বাতিলের দাবি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম একেবারে রূপান্তর। আপনারা-আমরা কিন্তু একটি মুখস্থ বিদ্যার জগৎ পার করে এসেছি। আমরা যখন পড়াশুনা করেছি, তখন একটি নতুন প্রযুক্তি এসেছে ১০-১৫ বছর বিরতিতে।
তিনি আরও বলেন, এখন ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। এখন আমাদের শিক্ষার্থীরা যে জগতে বড় হবে, সেখানে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বয় করে নেতৃত্বের জায়গায় টিকে থাকতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা কি সারা জীবন পিছিয়ে থাকব? নিশ্চয়ই না।
তিনি বলেন, এখন পৃথিবীতে মূল জিনিস হচ্ছে দক্ষতা। সেই কারণে আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম রূপান্তর। এখন বিশ্বের অনেক দেশ এটি করেছে। বাকি দেশগুলো করার চেষ্টা করছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা একটি খুব ভালো জায়গায় নিজেদের নিয়ে আসতে পেরেছি, এটি হুট করে হয়নি। ২০১৭-১৮ সালে অনেকগুলো গবেষণার পর ২০১৯ সালে সিদ্ধান্ত হয়ে আজকে আমরা এই অবস্থায় এসেছি। এটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, একটি দীর্ঘ সময় নিয়ে, অসংখ্য বিশেষজ্ঞদের কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের এই জায়গায় এসেছি এবং এটি আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন।
সুতরাং এটি নিয়ে যারা আজকে তথাকথিত আন্দোলন করছে, তাদের বেশিরভাগ কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। যারা একেবারে স্কুল পর্যায় গিয়ে কমিশনে গাইড বই বিক্রি করেন, তারা এসবের সঙ্গে জড়িত এবং দুঃখজনক হলেও সত্য কোনো কোনো শিক্ষকও এর সঙ্গে জড়িত।
মন্ত্রী বলেন, তারা অনেক অভিভাবককেও বিভ্রান্ত করছেন। এত বড় রূপান্তরের ক্ষেত্রে আমরা একটি বছর পার করে এসেছি। এটি কম সময় নয়। আমাদের অভিভাবকরা অভ্যস্ত হবেন, শিক্ষকরা ক্রমাগত প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন এবং প্রশিক্ষণ চলবে। কাজেই আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং বাস্তবায়ন হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বইগুলো এখনো বলছি পরীক্ষামূলক সংস্করণ। আমরা ক্রমাগত এর পরিমার্জন ও পরিশীলন করব। কিন্তু এই পদ্ধতির পরিবর্তন হবে না। বইগুলো আরও উন্নত করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এ এস এম মোসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বেপারী, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আইনজীবী হুমায়ুন কবির সুমনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিষয়ে সজাগ থাকুন: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। কারণ আমরা বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করে চলার চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিকে শিক্ষাকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছিলেন এবং তিনি কুদরত-ই খোদা শিক্ষা কমিশন তৈরি করেছিলেন। সেই কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছিল, সেটি ছিল অনেক সমৃদ্ধ।’
চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাবিয়ান চাঁদপুরের আয়োজনে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইলিশ বিচরণের পরিবেশ আগের মতো নেই: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘সেটি যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারতাম আজকে আমরা শিক্ষায় বিশ্বে অনেক বেশি এগিয়ে থাকতাম। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর অন্য সব ক্ষেত্রে যেমন আমরা পিছিয়েছি, শিক্ষায়ও তেমনি পিছিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন শিক্ষায় বিনিয়োগ হচ্ছে শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ এবং জিডিপির ৪ ভাগ সেখানে বিনিয়োগ করা দরকার। যখন আমরা সারা বিশ্বে শুনি শিক্ষায় জিডিপি কতভাগ বিনিয়োগ। এর মানে হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যে বুঝা যাচ্ছে তিনি সময়ের চাইতে কতখানি এগিয়ে ছিলেন।’
দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে যারা তখন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, তারা কিন্তু এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি। কাজেই তারা এদেশের মানুষকে এগিয়ে নেবে এই চিন্তা তাদের মাথায় ছিল না। যে কারণে তারা গতানুগতিক শিক্ষাকে চালিয়ে নিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে শিক্ষায় একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনবার চেষ্টা করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষাকে উৎসাহিত করেছেন। এরপর তিনি বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির শিক্ষার দিকে নজর দিয়েছেন।’
দীপু মনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা দ্বিতীয় মেয়াদে যখন ক্ষমতায় এসেছেন, সেই সময় তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেটি ছিল তরুন প্রজেন্মর জন্য ঘোষণা।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমরা দিন বদলের সনদ দিচ্ছি, এটি আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য। বদলে যাওয়া দিনের কাণ্ডারি হবে তরুণ প্রজন্ম এবং তারাই এর সুফলভোগী হবে। তারা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবতা। আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে অধীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছি এবং সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করে চলেছি। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ। আর এর কেন্দ্র হচ্ছে স্মার্ট নাগরিক। সেই স্মার্ট নাগরিক হতে হলে শিক্ষার দিকে অর্থাৎ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও মনোভাব নিয়ে তৈরি হতে হবে তার সবকিছু আমরা আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমে নিয়ে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের সন্তানরা ভালো পড়ালেখা করবে এবং জ্ঞানের সঙ্গে দক্ষতা অর্জন করবে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক হবে। তারা মূল্যবোধকে তাদের জীবন চর্চার অংশ করে নেবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আর যে দক্ষতাগুলো বর্তমান বিশ্বে আছে এবং আসছে সেগুলোর জন্য তৈরি হবে। যেগুলোকে আমরা বলছি সফ্ট স্কিল। সবকিছু মিলিয়ে তারা যেন দক্ষ, যোগ্য, মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ হয় সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষাক্রমে যে পরিবর্তন এসেছে, তা নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে এবং গুজব রটানো হচ্ছে। যারা কোচিং ও গাইড বই বিক্রি করছেন তারাও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা এই ব্যবসা না করে অন্য ব্যবসা করতে পারবেন। তাদের কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু আমাদের এই শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন বিষয়ে অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সন্তানদের এখন আর গাইড বই কিনে দেওয়া লাগবে না। তাদের প্রাইভেট পড়তে হবে না। তারা আনন্দের মধ্যে শিখবে। আমি সারাদেশের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলছি। তারা এই শিক্ষাক্রমের বাস্তবচিত্র আমার কাছে তুলে ধরছে। তারা বলছেন শিক্ষার্থীরা খুবই আগ্রহী এই শিক্ষাক্রমে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিষয়ে সজাগ থাকুন: শিক্ষামন্ত্রী
দেশে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় চান শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ছাপাতে কোনো ধরনের সমস্যা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
আগামী শিক্ষাবর্ষের বই ছাপাতে কোনো ধরনের সংকট কিংবা সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, গত বছর কাগজ, বিদ্যুৎসহ অন্য সংকট থাকলেও এ বছর তা নেই। ইতোমধ্যে প্রাথমিকের বই ছাপানোর টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে: শিক্ষামন্ত্রী
এসময় মন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিকেরও টেন্ডার কাজ চলছে। টেন্ডার কাজ সম্পন্ন করার জন্য কমিটি রয়েছে। সেসব কমিটিতে এসব টেন্ডারগুলো যাচ্ছে এবং অনুমোদন হয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, আশা করছি আগামী শিক্ষাবর্ষে যথাসময়ে সকল বই উপজেলাগুলোতে পৌঁছে যাবে এবং জানুয়ারির ১ তারিখে আমরা বই উৎসব করতে পারব।
এ সময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, চাঁদপুর পৌর সভার মেয়র জিল্লুর রহমান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
১৭ আগস্টেই এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
শেখ হাসিনার সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেশি: শিক্ষামন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বেশি থাকে এবং তা তিনি পূরণ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেশি হওয়ার কারণ তিনি মানুষ যা চায়, তা তিনি বার বার দেন। তিনি দিচ্ছেন এবং দেওয়ার সক্ষমতা রাখেন বলে মানুষ চায় তার কাছে। যে কোনোদিন দেয়নি, সে দিতেও পারে না। যার দেওয়ার কোনো সক্ষমতা নেই, দেওয়ার কোনো ইচ্ছা, দরদও নেই, তার কাছে কেউ চায়ও না।
শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে জেলা সদরের বিষ্ণুপুর ও ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নে নদীভাঙন এবং চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে তাদের কাছে কেউ চায়নি। কারণ জানে, তারা পাবে না এবং ইতিহাস তাই বলে। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল কিছুই হয়নি। তাদের এমপি-মন্ত্রীর বাড়ির সামনের রাস্তা, ব্রিজ ও কালভার্ট আমাদের করে দিতে হয়েছে। কাজেই মানুষের প্রত্যাশা আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে। আর চাঁদপুরে নদীভাঙন প্রতিরোধে যতটুকু কাজ হয়েছে, তা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই হয়েছে।
দীপু মনি বলেন, চাঁদপুরে আগামীতেও নদীভাঙন প্রতিরোধে কাজ হবে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটাকে পচিয়ে ফেলেছে বিএনপি: দীপু মনি
মন্ত্রী বলেন, ‘আজকের সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নদী ভাঙনের যে চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরেছে তা দেখেছি। বিভিন্ন স্থানে ভাঙন প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছেন সেজন্য ধন্যবাদ। আমি বিষয়গুলো জানি এবং মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমি আবারও চাঁদপুরের নদীভাঙন প্রতিরোধের প্রকল্পগুলো নিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’
জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান।
এ ছাড়াও নদী উপকূলীয় এলাকার চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরেরা তাদের নিজ নিজ এলাকার ভাঙন চিত্র সভায় তুলে ধরেন।
পাউবো, চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল হক, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হেদায়েত উল্যাহ, সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বেপারী, আবিদা সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি’র ষড়যন্ত্র রুখতে আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ ও সংগঠনের ঐক্য: দীপু মনি
সব দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান দীপু মনির
১ বছর আগে