এছাড়া একই মামলায় আরও ১৩ জন আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুস্তম আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোখলেছুর রহমান বাবলু, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান আখতার, তৎকালীন উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি ও ঈশ্বরদী কলেজের সাবেক ভিপি রেজাউল করিম শাহিন, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম অটল, তৎকালীন ছাত্রদল নেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ, তৎকালীন পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা নুরে আলাম শ্যামল, তৎকালীন ছাত্রদল নেতা আজিজুর রহমান শাহিন ওরফে প্রবলেম শাহিন ও পৌর সভার সাবেক কমিশনার শামসুল আলম।
যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন- আল আমিন, খোকন (বর্তমানে মৃত), ইসলাম হোসেন জুয়েল, আলাউদ্দিন বিশ্বাস, শিমু, আনিস শেখন, নুরুল ইসলাম, আক্কেল আলী, রবি, এনাম, কল্লোল, কালা বাবু, মামুন, সেলিম আহমেদ, মামুনুর রহমান, তুহিন, লিটন, আব্দুল্লাহ আল মামনু রিপন, লাইজু, আব্দুল জব্বার, আব্দুল হাকিম টেনু, আবুল কালাম, আলমগীর হোসেন, পলাশ ও পায়েল।
আর ১০ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাজু, বাবলু, আনোয়ার হোসেন জনি, বরকত, মুক্তা, মুকুল, দোলাল সরদার, জামরুল, তুহিন বিন ছিদ্দিক, মওলা, ফজলুর রহমান, আব্দুল বারিক ও রস্তম।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আক্তারুজ্জামান মুক্তা। অপরদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত সোমবার একই আদালত আলোচিত এ মামলায় বুধবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন।
এর আগে জেলহাজতে থাকা বিএনপির ৩০ নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তি তুলে ধরেন।
মামলার ৫২ জন আসামির মধ্যে ছয়জন মারা গেছেন। গত রবিবার ৩০ জন আসামি জামিন আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা সাংগঠনিক সফরে খুলনা থেকে রাজশাহী অভিমুখে ট্রেনযোগে বের হন। পথে ঈশ্বরদী স্টেশনে তার একটি নির্ধারিত পথসভা ছিল। তাকে বহনকারী ট্রেনটি পাকশী স্টেশনে পৌঁছার পরপরই ওই ট্রেনে ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় তৎকালীন ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল পুলিশ ৫২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট জমা দেয়।