ফরিদপুরের সংসদীয় আসন বিন্যাসের প্রতিবাদে ঢাকা-খুলনা ও ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তাদের দাবি, আাগের মতো ফরিদপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসন রাখতে হবে; কোনো সংসদীয় এলাকাকে অন্য সংসদীয় এলাকায় সংযুক্ত করা চলবে না।
সম্প্রতি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে ওই এলাকার মানুষ। এর প্রতিবাদে ভাঙ্গার মনসুরাবাদ ও হামিরদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কের ওপর গাছ ফেলে অবরোধ করেছে স্থানীয়রা। এতে মহাসড়কে কয়েক শ’ যানবাহন আটকা পড়ে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো অবরোধের মুখে পড়ে। এতে ভাঙ্গার ওপর দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: শিগগিরই নির্বাচনী এলাকার চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে ইসি
এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ সংসদীয় আসনের পুনর্নির্ধারিত সীমানার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে ফরিদপুর-৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদি ইউনিয়নকে কেটে নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে ইসির এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওই তালিকা প্রকাশের পর থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালে হামিরদি বাসস্ট্যান্ড ও মনসুরাবাদে মহাসড়কে গাছ ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন হাজারো মানুষ। তারা ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়ন কেটে নেওয়ার পরিবর্তে ভাঙ্গা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৫ আসন পুনঃপ্রবর্তনের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে দেশের সংসদীয় আসন সংখ্যা পুনর্বিন্যাসের সময় ফরিদপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনকে কেটে চারটি করা হয়েছিল।