রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোকে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অর্থ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার(৯ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা তুলে ধরেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সত্যজিৎ বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোম্পানিগুলোর নাম সুনির্দিষ্টভাবে না বললেও অর্থ বিভাগ ও অর্থসচিবকে পুঁজিবাজারে কোম্পানিকে তালিকাভুক্তির আগে সেগুলোকে যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করতে বলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বক্তব্য দেন।
আব্দুস সালাম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এটি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াবে এবং সর্বোপরি কোম্পানিগুলো তাদের ব্যয় কমাতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এতে প্রতিযোগিতার মনোভাবও তৈরি হবে। সরকারি কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারবে।’
প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে সত্যজিৎ বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নদী ও খালের ওপর সেতুগুলোর যথাযথ উচ্চতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে এসব স্থাপনার কারণে পানি প্রবাহ এবং নৌযান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে।
তিনি 'শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রতিষ্ঠার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন এবং মৌলিক অবকাঠামো নির্মাণ' প্রকল্পে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় বিস্ময় প্রকাশ করেন।
পরিকল্পনা সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্প থেকে তার নাম বাদ দিতে বলেছেন।
এসময় বৈঠকে অংশগ্রহণকারী মন্ত্রী ও সচিবরা তাকে বলেন, নাম বাদ দিলে প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন জটিলতা ও বিলম্ব হবে, কারণ প্রকল্পসংক্রান্ত একটি আইন ইতোমধ্যে সংসদে পাস হয়েছে।
আরও পড়ুন: জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও গ্রামাঞ্চলের মানুষের অবস্থা ভালো: প্রধানমন্ত্রী
জবাবে প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, কোনো প্রকল্পে তার নাম যুক্ত করা হলে ভবিষ্যতে তিনি কোনো প্রস্তাবে অনুমোদন দেবেন না।
২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনায় ১ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে একনেক।
১০টি প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ৫ হাজার ২০৩ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং বাকি ৩৬০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে।
এর মধ্যে ৮টি নতুন প্রকল্প ও ২টি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।
আরও পড়ুন: একনেকে চমেক হাসপাতালে বার্ন ইউনিট ও খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রকল্প অনুমোদন