সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ-টু-আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
গত ৫ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে ৪ জুলাই শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করেন।
আবেদনকারীর প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী মো. জহিরুল ইসলাম বিদেশে থাকা জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হকের অনুপস্থিতির কারণে একদিনের বিলম্বের অনুরোধ করার পরে আবেদনটি স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: কোটা পদ্ধতি বাতিল চেয়ে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা এক পরিপত্রের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করা হয়। এতে বলা হয়, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাদ দিয়ে নিয়োগ হবে সম্পূর্ণ মেধাভিত্তিক।
২০১৮ সালে বিলুপ্তির আগে সরকারি চাকরিতে প্রায় ৫৬ শতাংশ চাকরি বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত ছিল। সবচেয়ে বড় কোটা ৩০ শতাংশ ছিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য। উপরন্তু, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং অনুন্নত জেলার প্রার্থীদের জন্য আরও ১০ শতাংশ কোটা ছিল। ৫ শতাংশ পদ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের জন্য এবং ১ শতাংশ প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল।
প্রায় ৬ বছর পর গত ৫ জুন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের জন্য নির্ধারিত ৩০ শতাংশ কোটা বাতিল অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলন: দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ