করদাতাদের অর্থ সাশ্রয় ও সরকারের ব্যয়ের বোঝা কমাতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের তিনটি স্থলবন্দর সম্পূর্ণ বন্ধ এবং আরেকটির কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নীতিগতভাবে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বন্ধ করা স্থলবন্দরগুলো হলো- নীলফামারীর চিলাহাটি স্থলবন্দর, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর এবং রাঙ্গামাটির তেগামুখ স্থলবন্দর। আর হবিগঞ্জের বল্লা স্থলবন্দরে কার্যক্রম স্থগিত করা হচ্ছে।
বৈঠকের পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রেস সচিব আলম বলেন, ‘আপনারা জানেন সীমান্ত এলাকার রাজনীতিবিদরা মাঝে মাঝে রাজনৈতিক বিবেচনায় এই ধরনের স্থলবন্দরের অনুমোদন নিয়ে আসেন। কিন্তু সেখানে কোনো বাণিজ্য হয়নি। এটি সরকারের জন্য অতিরিক্ত খরচের বোঝা তৈরি করে।’
পড়ুন: জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত ১২৫ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশ
তিনি বলেন, করদাতাদের অর্থ সেখানে কর্মকর্তাদের নিয়োগের মাধ্যমে ব্যয় করা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি এটি নিয়ে কাজ করেছে।
এর আগে, সরকারি কমিটি তিনটি অলাভজনক এবং নিষ্ক্রিয় স্থলবন্দর সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে এবং অন্য একটি বন্দরে কার্যক্রম স্থগিতের সুপারিশ করেছিল।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এবং সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদও ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন।