প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার দেশের শিশুদের শিক্ষা গ্রহণ এবং তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছি যাতে তারা বিভিন্নভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে এবং তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ করতে পারে।’
মঙ্গলবার (৪ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম, ১০০তম, ১০১তম, ১০২তম, ১০৩তম ও ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ৩০৪ জন বিজয়ীর মধ্য থেকে সেরা পারফর্মারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগ সরকার দেশে বিভিন্ন ধরনের বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জেলা পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করছে।
তিনি বলেন, চিকিৎসা, কৃষি, ডিজাইন ও ফ্যাশন, অ্যারোস্পেস ও এভিয়েশন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বহুমাত্রিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার শিশুদের সুরক্ষায় অনেক আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছে এবং শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, সরকার প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক, উপবৃত্তি ও বৃত্তির পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার জন্যও বৃত্তি প্রদান করে।
তিনি বলেন, 'আমাদের পদক্ষেপের ফলে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা ২০০৬ সালে ছিল মাত্র ৪৫ শতাংশ।’
আরও পড়ুন: উন্নত বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশে স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব এবং কম্পিউটার ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, 'আমরা আইটি শিক্ষা, ডিজিটাল সিস্টেম এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণ করছি।’
তিনি বলেন, প্রযুক্তির যুগে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের সন্তানরা পিছিয়ে থাকবে না। ‘আমরা তাদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞানে সুসজ্জিত করে একটি আধুনিক জাতি হিসেবে গড়ে তুলব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের এখন ভিশন হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘আজকের শিশু-কিশোররাই হবে ২০৪১ সালের বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথপ্রদর্শক। আমরা তাদের যথাযথভাবে উন্নত করতে চাই, যাতে তারা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের সভাপতি ও বরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বৈচিত্র্যময় স্বাদ ও গন্ধের চা উৎপাদনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর