দেশব্যাপী সাম্প্রতিক অস্থিরতা ও 'কমপ্লিট শাটডাউনে' ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের জনগণের পাশে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক বিবৃতিতে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সহযোগী সংগঠন এবং দলের শুভাকাঙ্ক্ষীদের পাশাপাশি সচ্ছল জনগণের সহায়তা বাড়াতে আহ্বান জানান দলের সভাপতি।
শেখ হাসিনা বলেন, কোটা আন্দোলন পরবর্তী সাম্প্রতিক ঘটনাবলী ও কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা বিঘ্নিত হয়েছে। এছাড়া বিএনপি, জামায়াত-শিবির সম্মিলিতভাবে মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, বিটিভি ভবন, সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়।
অগ্নিসংযোগের কারণে বাস-ট্রাকসহ সরকারি-বেসরকারি অনেক যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা এবং জীবিকার মান স্বাভাবিক করার স্বার্থে সরকার গত ২০ জুলাই কারফিউ জারি করতে বাধ্য হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষ ও যারা দিন আনে দিন খায় তাদের আয় কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। নিম্ন আয়ের জনগণ বিশেষ করে রিকশাচালক, ভ্যানচালক, হকার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সব সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের প্রতি আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি।’
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল সেভাবেই এই সংকটময় সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলামের সই করা বিবৃতি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পাশাপাশি আমি সমাজের বিত্তবানদের তাদের এলাকার দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবং মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে অনুরোধ জানাচ্ছি।’