শনিবার রাতে ‘উদ্ধারের’ পর কাজলের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে একটি মামলা করেছে বিজিবি। আদালত সেই মামলায় কাজলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এছাড়া, সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে রাজধানীর তিনটি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যে তিনটি মামলা রয়েছে, ফরোয়ার্ডিংয়ে পুলিশ তা-ও উল্লেখ করে। তার সাথে পুলিশের পক্ষ থেকে ৫৪ ধারায় একটি মামলা দেওয়া হয়। আদালত ৫৪ ধারার মামলায় কাজলকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
যশোর আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এএসআই সুবোধ ঘোষ জানান, সাংবাদিক কাজলকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে পুলিশ তার নামে রুজু হওয়া মামলাগুলোর কথা তুলে ধরে।
কাজলের আইনজীবী দেবাশীষ দাসকে উদ্ধৃত করে তার সহকারী শিক্ষানবিস আইনজীবী সুদীপ্ত ঘোষ জানান, পুলিশ কাজলের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা (আজ বিজিবির রুজু করা) ছাড়াও রাজধানীর তিনটি থানায় আরও তিনটি মামলা থাকার কথা উল্লেখ করে। এই তিনটি মামলাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।
গত ৯, ১০ ও ১১ মার্চ মামলা তিনটি হয় যথাক্রমে শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গির চর থানায়। আদালত এই মামলা তিনটি সম্বন্ধে কোনো আদেশ দেননি।
সদর আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ পুলিশের এটিএসআই সন্তোষকুমার বিশ্বাস জানান, ৫৪ ধারায় রুজু করা মামলায় আদালত বিকেলে সাংবাদিক কাজলকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী সন্ধ্যার আগেই তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।