প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে ‘অবৈধভাবে স্পর্শকাতর সরকারি নথি সংগ্রহ ও ছবি তোলার’- চেষ্টার অভিযোগ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করতে বলেছে ঢাকার একটি আদালত।
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিবের করা অনাস্থা আবেদন গ্রহণ করে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।
আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
জামিনে থাকা রোজিনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার মামলায় ডিবির প্রতিবেদনে শুনানি ১৫ জানুয়ারি
গত বছরের ১১ অক্টোবর অভিযোগ থেকে রোজিনার অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ।
স্বাস্থ্য খাতে প্রতিবেদনের জন্য পরিচিত রোজিনাকে ২০২১ সালের ১৭মে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার আগে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সচিবালয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।
মামলার নথি অনুসারে, তিনি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কেনা সম্পর্কিত সরকারি নথির ছবি তুলেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট এবং দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় রোজিনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
২০২১ সালের ১৮ মে ঢাকার একটি আদালত রোজিনাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের জন্য পুলিশের দাবি নাকচ করে কারাগারে পাঠায়। ওই দিন রোজিনাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০২১ সালের ২৩মে তিনি ঢাকার একটি আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পাওয়ার পর কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আর্টিকেল ১৯