সাংবাদিক সংগঠনগুলোর ঘোর আপত্তি সত্ত্বেও জাতীয় সংসদে সদ্য পাস হওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো বিপজ্জনক ধারা অন্তর্ভুক্ত থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এ উদ্বেগ জানান।
ডিআরইউ নেতারা বলেন, সাংবাদিক সমাজের বিরোধীতা সত্ত্বেও সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছিল। সাংবাদিকসহ সব মহলের সমালোচনার মুখে এটি পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই আইন প্রণয়নের শুরু থেকেই আমরা কিছু ধারাকে নিবর্তনমূলক হিসেবে উল্লেখ করে বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলাম।
তারা বলেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারায় সংশোধনী আনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো। পরামর্শগুলো সংশোধনী আকারে গ্রহণে সাংবাদিকদের প্রত্যাশা থাকলেও সদ্য পাস হওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে তার কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: দুই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় ডিআরইউয়ের উদ্বেগ
তারা বলেন, অংশীজনদের পরামর্শ উপেক্ষা করে সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। এ ধরনের নিবর্তনমূলক ধারা স্বাধীন মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা ও হুমকি হবে।
নেতারা বলেন, সমাজের দুর্নীতিবাজ ও অপকর্মকারীরা এই আইনটিকে গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে মস্তবড় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে, যা সাংবাদিকদের মুক্ত ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে বাঁধা সৃষ্টি করবে।
নেতারা আরও বলেন, অংশীজনদের পরামর্শ উপেক্ষা করে সাইবার নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সাংবাদিকতা একটি দায়িত্বশীল পেশা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার অবাধ ক্ষেত্র। সাইবার নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারায় সাংবাদিকতা চর্চার ক্ষেত্র সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অবিলম্বে এ সকল বিপজ্জনক ধারা সংশোধনের দাবি জানান নেতারা।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা: তদন্তের অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ডিআরইউ’র