সামিট গ্রুপ এলএনজি টার্মিনাল নামে পরিচিত তার ফ্লোটিং স্টোরেজ এবং রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) মেরামত সম্পন্ন করেছে। তবে এলএনজি আমদানি করতে পেট্রোবাংলার সময় লাগার কারণে এখান থেকে সেবা পেতে সময় লাগবে আরও ২০ দিন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সামিট গ্রুপ।
এতে বলা হয়, সামিট আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছে, সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড (এসএলএনজি) এখন জাহাজ থেকে জাহাজে স্থানান্তর এবং এলএনজির পুনঃগ্যাসিফিকেশনের জন্য প্রস্তুত। এর ফলে জাতীয় গ্রিডে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) পুনরায় গ্যাসীকৃত এলএনজি পাঠানো যাবে।
এতে আরও বলা হয়, শিল্প খাতে বিদ্যুৎ, সার ও গ্যাসের চাহিদা মেটাতে এসএলএনজির জাতীয় গুরুত্ব বিবেচনা করে সামিটের কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালু করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
চলতি বছরের ২৩ মে ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাত হানার কারণে জাহাজ থেকে জাহাজে এলএনজি স্থানান্তর কৌশলগতভাবে এড়ানো হয়। এর কয়েকদিন পর ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে শত শত টন ওজনের একটি ভাঙা ভাসমান পন্টুন সামিটের এফএসআরইউতে বারবার আঘাত করলে ব্যালাস্ট পানির ট্যাংকের ক্ষতি হয়।
এলএনজি টার্মিনাল পুনরায় কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রস্তুত হলেও এর সুফল পেতে প্রায় ২০ দিন সময় লাগবে, কারণ সরকারকে এর সেবা গ্রহণের জন্য বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করতে হয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনালের কারিগরি ত্রুটির সমাধান করা হয়েছে। এটি আবার উৎপাদন শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে।
টার্মিনালে উৎপাদন শুরু করতে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করতে প্রায় ২০ দিন সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের আগে সামিটের এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম শুরুর সম্ভাবনা নেই