মঙ্গলবার কোস্টগার্ড মংলা পশ্চিম জোনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের কৈকালি সিজি স্টেশনের একটি টহল দল সোমবার রাত ৯টায় সুন্দরবনের কালির খাল এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় সেখান থেকে হরিণের দু’টি মাথা, দু’টি চামড়া এবং ১০ কেজি মাংস উদ্ধার করা হয়। তবে এসময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, চলতি শীত মৌসুমে সুন্দরবনে হরিণ শিকার বেড়ে গেছে। শিকারি চক্র চোরাই পথে আবার কখনো জেলে বেশে সুন্দরবনে প্রবেশ করে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করছে। হরিণের মাংস মাঝে মধ্যে উদ্ধার করা হলেও বোঝার উপায় নেই কি পরিমাণ হরিণ শিকার হচ্ছে সুন্দরবন থেকে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার সপ্তাহে বন বিভাগ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা সুন্দনবনে কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০০ কেজি হরিণের মাংস, হরিণের তিনটি চামড়া এবং তিনটি মাথা উদ্ধার করে। এছাড়া জবাই করা অবস্থায় একটি হরিণ উদ্ধার করে বন বিভাগ।