জনগণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট মো. জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
সেখানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪০তম বিসিএস (আনসার) ক্যাডার কর্মকর্তা এবং ২৫তম ব্যাচ (পুরুষ) রিক্রুট সিপাহি মৌলিক প্রশিক্ষণের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সেনাবাহিনী অনেকদিন ধরে মাঠে থেকে জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। জনসেবা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থেই তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে জনবলের স্বল্পতা রয়েছে। সেটা পূরণের লক্ষ্যেই কাজ করছে সেনাবাহিনী।
১ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়কালে কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, যেসব পুলিশ সদস্য এখনও কর্মস্থলে যোগদান করেনি, তাদের আর যোগদান করতে দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যোগদান করেনি এমন পুলিশ সদস্যের সংখ্যা খুবই নগণ্য। মূলত বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যরাই কর্মস্থলে যোগদান করেনি।’
বেআইনি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত এসব পুলিশ সদস্যদের ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি জনবান্ধব সুশৃঙ্খল বাহিনী। তাদের সঙ্গে যোগাযোগে বা তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে সাধারণ জনগণের কোনো সমস্যা নেই।