সরকার নির্ধারিত তারিখের আগেই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ শুক্রবার (৬ জুন) শরীয়তপুর, পটুয়াখালী ও রাজশাহীর কয়েকটি এলাকায় ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়েছে।
শরীয়তপুরের ঐতিহ্যবাহী সুরেশ্বর দরবার শরীফের অনুসারীরা আজ সকাল সোয়া ১০টায় দরবার প্রাঙ্গণে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ পরিচালনা করেন শাহ সুফি সৈয়দ বেলাল নুরী আল সুরেশ্বরী এবং মুনাজাত করেন গদীনিশিন পীর শাহ সুফি সৈয়দ কামাল হোসেন নুরী। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় দরবার মসজিদে। শরীয়তপুর ছাড়াও চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলার ভক্তরা এতে অংশ নেন।
এদিকে, পটুয়াখালীর সদরসহ পাঁচটি উপজেলায় জাঁহাগিরিয়া শাহ সুফী মমতাজায়ী দরবার শরীফের কাদেরিয়া চিশতিয়া তরিকার অনুসারীরাও ঈদ উদযাপন করেন। সকাল সাড়ে ৮টায় গলাচিপার ডাকুয়া ইউনিয়নের শাহ সুফী মমতাজায়ী জামে মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয়। অংশ নেন প্রায় শতাধিক মুসল্লি। নামাজ শেষে দোয়া, মিলাদ ও কোরবানির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
তারা জানান, এটি শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং আধ্যাত্মিক ঐক্য ও আত্মত্যাগের প্রতীক। সৌদি আরব কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের অনুসরণ নয়—যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে তারা ঈদ উদযাপন করেন।
রাজশাহীর পুঠিয়া ও গোদাগাড়ী উপজেলাতেও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে কিছু পরিবার ঈদ পালন করেছেন। পুঠিয়ায় কৃষ্ণপুর মসজিদে এবং গোদাগাড়ীর চাতড়া বাটক্যাপাড়ায় খোলা জায়গায় ঈদের নামাজ আদায় করেন স্থানীয়রা। নামাজ শেষে কোরবানি দেন তারা।
ঈদের নামাজ আদায় করা কৃষ্ণপুর গ্রামের একজন মুসল্লি জানান, নামাজে মুসল্লিদের উপস্থিত ছিল মোট ১০ জন। পুরুষ মুসলি ৮জন এবং মহিলাদের উপস্থিত ২ জন। আমরা প্রতি বছরে এখানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। আমি পূর্বে দেশের প্রচলিত নিয়মের ঈদের জামাত আদায় করতাম। তবে এখন সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের সালাত আদায় করতে পেরে আমরা অনেক খুশি।
তিনি আরও বলেন, সৌদি আরব পৃথিবীর মূল কেন্দ্র সে কারণে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করা হয় বলে যু্ক্তি দেওয়া হয়। আমরা ঈদ পালন করে আসছি ৮ থেকে ১০ বছর যাবত। আগে মুসলি কম থাকায় আমরা নিজ বাড়িতেই নামাজ আদায় করতাম বর্তমানে সংখ্যা বেশি হওয়ায় তিন-চার বছর থেকে কৃষ্ণপুর মুসলিম মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ঈদ উদযাপন ঘিরে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে।