নারায়ণগঞ্জ সদর উপজলোর ফতুল্লায় এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ র্ধষণের পর হত্যার দায়ে চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন-কামরুল হাসান, রবিউল, আলী আকবর, শুক্কুর আলী। আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন ডলি বেগম।
জানা গেছে, রায় ঘোষণার সময় মামলার তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে বাকি দুই আসামি রবিউল ও ডলি পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৩ জুন সকালে তাকে জোর করে বক্তাবলি ইউনিয়নের একটি ধানখেতে নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা আক্তার হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসিকিউশন) শাওন শায়লা জানান, আসামি কামরুল, রবিউল ও শুক্কুর আলী মিলে ভুক্তভোগীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। ওই সময় ঘটনাস্থল দিয়ে যাচ্ছিলেন ট্রলার চালক আলী আকবর। কান্নার আওয়াজ পেয়ে ছুটে গিয়ে ভুক্তভোগীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করতে দেখে বিষয়টি পুলিশকে জানাতে চান। আসামিরা আলী আকবরকে হত্যা এবং তার স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে তাকে দিয়ে পাহারা দেয়ায়।
আসামিরা পরে ভুক্তভোগীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে প্রথমে ডলি বেগমের বাসায় পরে নাসরিনের বাসায় নেয়া হয়। দু‘জনে মিলে লাশটি আবার খেতে ফেলে আসে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২০০৬ সালে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এ ঘটনায় ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করে। তারই ভিত্তিতে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এসময় আরও একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক আফতাব হত্যা মামলায় ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল