দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ সফলভাবে তাদের বহুল প্রতীক্ষিত সেল ১১.১১ শেষ করেছে। বছরের সবচেয়ে বড় এই সেলের মাধ্যমে দারাজ এবার ২ কোটির বেশি গ্রাহককে সেবা প্রদানে সক্ষম হয়েছে।
এ বছর দারাজের লক্ষ্য ছিল সবচেয়ে বড় সেল উৎসবের মাধ্যমে সকলের কাছে ই-কমার্সের সুযোগ সুবিধাগুলো পৌঁছে দেওয়া। এ উদ্দেশ্য সাধনে তারা ১১.১১-তে অফার তৈরি করে সেরা দাম এবং বৈচিত্র্যময় পণ্য সামগ্রী দিয়ে।
সবচেয়ে বেশি বিক্রিত পণ্যের মধ্যে লবণ ও গুড়া দুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছিল অন্যতম। এর মাধ্যমে ক্রেতারা অনেক সঞ্চয় করতে সক্ষম হয়েছেন, যা লোকাল কমিউনিটির জীবনমান উন্নত করার যে প্রতিশ্রুতি দারাজ নিয়েছিল তা নিশ্চিত হয়েছে।
দারাজের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দারাজ বিক্রেতাদের অনলাইন ব্যবসা প্রসারিত করার প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে ৩০ হাজারের অধিক ব্র্যান্ড এবং বিক্রেতাদের ১১.১১ সেলে বিক্রয়ের সুবিধা করে দিয়েছে। এ জন্য অনবোর্ডিং ওয়ার্কশপ অফার করা থেকে শুরু করে বিক্রেতাদের ব্যবসার খরচ কমানোর লক্ষ্যে নতুন কো-ফান্ডেড প্রোগ্রাম চালু করা পর্যন্ত বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় দারাজ। ফলস্বরুপ এবার দারাজে নন-ক্যাম্পেইন দিনের তুলনায় ১০০ শতাংশের অধিক বিক্রেতা ১১.১১ এর প্রথম ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ টাকার বিক্রয় করতে সক্ষম হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দারাজের ১১.১১ সেল উৎসবে মেতে ছিলেন বাংলাদেশের ২৯ লক্ষাধিক ক্রেতা
এতে আরও বলা হয়, দারাজ কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি আয় করার সুযোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এ বছরের ১১.১১-তে কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা বিগত বছরের তুলনায় ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত তাদের আয় বৃদ্ধি করতে পেরেছেন।
দারাজের এ বছরের আরও একটি উদ্দেশ্য ছিল সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলগুলোতে ই-কমার্সের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা। পুরো দেশব্যাপী বছরের সবচেয়ে বড় সেলের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে দারাজ তাদের ডেলিভারি নেটওয়ার্ক আরও প্রসারিত করে, যার ফলস্বরূপ এ বছর ঢাকার বাইরের বিক্রেতাদের মাঝে ৬০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়।
দারাজ জানায়, লজিস্টিক পার্টনারদের সহায়তায় দারাজ ২ হাজার ৫০০ এরও বেশি রাইডার নিয়োগ করেছে যারা আরও বেশি বিক্রেতা এবং ক্রেতাদের মাঝে সংযোগ স্থাপন করছে। এবারের সবচেয়ে দূরের প্যাকেজটি চট্টগ্রাম থেকে তেঁতুলিয়া ডেলিভারির জন্য তারা ৫৭৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সেলার ও উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে দারাজ সেলার সামিট-২০২৩
চ্যালেঞ্জিং এ সময়ে দারাজ প্ল্যাটফর্মের গুরুত্বকে অনুধাবন করে দারাজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিয়ারকে মিকেলসেন বলেন, ‘অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির এ সময়ে, ব্যবসার প্রভাবের মাধ্যমে সমাজকে উন্নত করার আমাদের যে প্রতিশ্রুতি তা আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। এ বছর আমরা ক্রেতাদের জন্য অনলাইন কেনাকাটা আরও সহজলভ্য, সাশ্রয়ী এবং ফলপ্রসূ করার পাশাপাশি বিক্রেতাদের বিক্রয় সর্বাধিক করার লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করেছি। আমরা আমাদের ক্রেতা, বিক্রেতা, ব্র্যান্ড, ক্রিয়েটর, পার্টনার এবং দারাজের অসাধারণ টিমের প্রতি কৃতজ্ঞ যাদের সহায়তা ছাড়া দারাজ ১১.১১-এর বিপুল সফলতা সম্ভব হত না।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, 'দারাজের নামে দাবি করা ফেইক সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ এবং ওয়েবসাইট থেকে সতর্ক থাকুন। শুধুমাত্র দারাজের নীল টিক চিহ্নযুক্ত ভেরিফায়েড সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোতে ভিজিটের মাধ্যমে দারাজের সকল ছাড় ও সেরা অফার সম্পর্কে আপডেটেড থাকুন এবং সুরক্ষিতভাবে লেনদেন করতে শুধুমাত্র দারাজ ওয়েবসাইট (www.daraz.com.bd) এবং দারাজ অ্যাপের মাধ্যমে কেনাকাটা করুন। আসছে দারাজের গ্র্যান্ড ইয়ার-এন্ড ক্যাম্পেইন ১২.১২, যেখানে থাকবে আকর্ষণীয় সব ডিলস্। তাই এই সুযোগ হাতছাড়া না করতে, স্মার্ট এবং সুরক্ষিত উপায়ে সবই কিনুন দারাজে। যেকোনো তথ্যের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন দারাজের লাইভ চ্যাট অপশন অথবা কল করুন ১৬৪৯২ নম্বরে।'