বাগেরহাটে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ১৫ জনকে অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুল কবিরের নেতৃত্বে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের দণ্ডিত করা হয়।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে ১৫ জনকে ২১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে জেলার মোল্লাহাটে একজনকে চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: মাস্ক পরা নিশ্চিতে রাজধানীতে শিগগির ভ্রাম্যমাণ আদালত
জেলায় মোট পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে ১৩টি মামলা করা হয়েছে।
এদিকে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় বৃহস্পতিবার বাগেরহাটে করোনা শনাক্তের হার ২২ দশমিক ২২ শতাংশ। ওই দিন ৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে স্বাস্থ্য বিভাগ দুই জনের করোনা শনাক্ত করে।
এর আগে করোনা সংক্রমণ রোধ করতে সরকার ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে। যা বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ৬টি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত
ওই বিধিনিষেধ অনুযায়ী, দোকান, শপিং-মল, বাজার, হোটেল, রেস্তোরাসহ সকল জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলক সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সস্মুখীন হতে হবে। তবে অনেকেই বিধিনিষেধের খবর জানেন না বলে জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মানুষ যাতে মাস্ক পরে এমন প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বিধিনিষেধ না মানলে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে।