আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের রোল মডেল হবে ডিজিটাল সেন্টার। এই উদ্যোগ দেশ ছাপিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসা কুড়িয়েছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) নাটোরের সিংড়া উপজেলায় আয়োজিত এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এর ১৩তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের এই মডেল অনেক দেশেই প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। ফিলিপাইনের বাংসোমারো প্রদেশে আমাদের ডিজিটাল সেন্টারের আদলে ১০৫টি ওয়ান স্টপ সেন্টার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছি। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, ঘানা, কম্বোডিয়াতেও ক্রস বর্ডারের মাধ্যমে এই মডেল রেপ্লিকেট করতে কাজ চলছে।
ডিজিটাল সেন্টারের বর্ষপূর্তি উদযাপনের দিনে সিংড়ায় বাংলাদেশ ও ভারত ডিজিটাল সেবা ও কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় বিডিসেট সেন্টার, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এবং হার পাওয়ার প্রকল্পের প্রশিক্ষণের ওরিয়েন্টশন উদ্বোধন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন দেশের যৌথ সহযোগিতা ছাড়া সাইবার স্পেস সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়: পলক
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জন্ম নিবন্ধন-মৃত্যু নিবন্ধন, বিদ্যুতের বিল দেওয়া, বিদেশে যাওয়ার রেজিস্ট্রেশন, আর্থিক লেনদেন সেবা প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুলভ মূল্যে মানুষের হাতের নাগালে সেবাটা পৌঁছে দিতে এই ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের ৯ হাজার ৩৯৭টি ডিজিটাল সেন্টারের ১৭ হাজার ৮০০’র বেশি নারী-পুরুষ উদ্যোক্তা ৩৮৫টিরও বেশি সরকারি-বেসরকারি সেবা নাগরিককে সহজে, দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন। প্রতি মাসে ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৭৫ লাখেরও বেশি সেবা দেওয়া হচ্ছে। উদ্যোক্তারা এ পর্যন্ত নাগরিকদের ৭৮ দশমিক ১৪ শতাংশ সময়, ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ ব্যয় ও ১৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ যাতায়াত কমিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিসেবা নিশ্চিতে এরই মধ্যে ভিলেজ ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের মধ্যে দেশে ১ হাজার ভিলেজ ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করার পরিকল্পনার কথাও জানান প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের আমন্ত্রণে বেলজিয়াম গেলেন পলক
তিনি বলেন, ভিলেজ ডিজিটাল সেন্টার থেকে আগামী বছরের মধ্যে ২০ লাখ তরুণকে স্মার্ট স্কিলস প্রদান ও কর্মসংস্থানের আওতায় নেওয়া হবে।
নাটোর জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইসিটি বিভাগের হার পাওয়ার প্রকল্পের উপপরিচালক নিলুফা ইয়াসমিন।
ডিজিটাল সেন্টারের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে জেলা এবং উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্বাচিত সেরা নারী ও পুরুষ উদ্যোক্তাদের পুরস্কার দেওয়া হয়।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ ভূঞা, নাটোরের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্পের উপপরিচালক (উপসচিব) মো. মোখতার আহমেদ এবং বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সেবা ও কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: অপপ্রচারের কারণে আওয়ামী লীগকে বার বার ক্ষমতার বাইরে থাকতে হয়েছে: পলক