স্মার্ট বাংলাদেশ ও ত্রিপুরা বিনির্মাণে পার্টনার হিসেবে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সাথে স্মার্ট ত্রিপুরা বিনির্মাণে আমরা দুই দেশ এক সাথে নলেজ পার্টনার হিসেবে কাজ করতে চাই। আমাদের যেহেতু একই রকম আবহাওয়া, পরিবেশ ও সংস্কৃতি রয়েছে তাই আমরা চাইলেই একসঙ্গে মিলে উদ্ভাবনী জাতি গঠনে স্মার্ট শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, কৃষি, পরিবেশ এই সকল বিষয়ে নীতি প্রণয়ন করতে পারি।’
আরও পড়ুন: মাহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতি ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ গড়ার আহ্বান পলকের
বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার হোটেল পোলো টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট’এ পলক এই সব কথা বলেন।
এ সময় আইটি প্রতিমন্ত্রী ত্রিপুরায় ২০ হেক্টর জায়গা জুড়ে যে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন তৈরি করা হচ্ছে বাংলাদেশের আইসিটি শিল্পের উদ্যোক্তারা সেখানে বিনিয়োগ করতে পারে বলে আভাস দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মেধাবীদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয়। এর ফলে আইটি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তার নির্দেশনায় দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নে আমার ২০১০ সাল থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে আমরা প্রায় ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, ৩০০টি সংসদসীয় আসন ভিত্তিক স্কুল অফ ফিউচার স্থাপন করেছি। এছাড়াও ১৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্টার ফর ফোর আইআর স্থাপন করতে যাচ্ছি। এছাড়া ব্লেন্ডেড লার্নিং’র কাজ চলছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাত্র ১৩ বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সততা, দূরদর্শীতা ও সাহসিকতা দিয়ে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের মধ্যে আন্তরিকতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ এবং বিশ্বাসের সম্পর্ক রয়েছে। আমরা সেটা আরও ঘনিষ্ট ও শক্তিশালী করে এক সঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই।
আইসিটি বিভাগের বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও আগরতলা হাইকমিশনের যৌথ আয়োজনে এ আইটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ডিজিটাল বাংলদেশ টু স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক এই সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
আরও পড়ুন: বই মানুষকে সৃজনশীল হতে সহায়তা করে: পলক
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং যুব ও ক্রীড় মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র, কারা ও অগ্নি নির্বাপন মন্ত্রী রাম প্রাসাদ পাল এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ।
স্বাগত বক্তব্য দেন ভারতের ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার আইটি শিল্পের সম্ভাবনার ওপর আলোকপাত করে রাজ্য সরকারের শিল্প বাণিজ্য তথা তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের মুখ্য সচিব পুনিত আগারওয়াল।