বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জরুরি পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত রাখতে এবং সম্ভাব্য অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ আসন্ন দুর্গাপূজার ছুটি ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বর্ধিত করেছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।
কিন্তু শিক্ষার্থীরা উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত হল এবং ক্যাম্পাস ত্যাগ না করে শনিবার চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে যেন কোন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য সকল গেট বন্ধ করে দেয় তারা।
এদিকে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। হামলায় ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে দাবি করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
তারা জানায়, যত রক্ত ঝরে তত রক্ত দিব তবু উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পরপরই র্যাব ও পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটে অবস্থান নেয়। এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ এবং হল ত্যাগের নির্দেশে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখা নিয়ে মন্তব্য করার কারণে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ডেইলি সানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভিসির বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি মুখে ১৮ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের ৫ ঘণ্টা পর উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।