রবিবার এ মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিনও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রায় ঘোষণার পরবর্তী তারিখ ৩০ জানুয়ারি ধার্য করেন বলে জানান ট্রাইবুন্যালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউর মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
এর আগেও একই কারণে কয়েক দফায় রায় ঘোষণার তারিখ পেছানো হয়। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো পেছাল রায়।
মামলার আসামিরা হলেন- হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিন, যুগ্ম সমন্বয়ক কাজী মোরশেদুল হক প্লাবন, সদস্য তানভীর আহম্মেদ, সাইদুর রহমান, আবু ইউসুফ আলী ও তৌহিদুল আলম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে তাকওয়া মসজিদের পশ্চিম পাশে হিযবুত তাহরীরের কিছু সদস্য একত্রিত হন। তারা সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলা করে জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টির পরিকল্পনা করেন। উত্তরা থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে সরকারবিরোধী লিফলেট, পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে উত্তরা থানা পুলিশ।
২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তদন্ত শেষে হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক মহিউদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।
২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চার্জ গঠন করা হয়। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।