ঢাকার আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি এবং নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের সদস্যদের ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়া ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। রবিবার পালানোর সময় পুলিশ সদস্যদের ওপর মরিচের স্প্রে ব্যবহার করেছিল তাদের সহযোগীরা।
সোমবার রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা লোকটির নাম এবং তার কয়েকজন সহযোগীর নাম পেয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করব না।’
আরও পড়ুন: হেলমেট পড়া মোটরসাইকেল চালকদের পুলিশের ফুল-চকোলেট উপহার
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘আমরা গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছি যে কীভাবে ওই দুই জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনা করেছিল। এই মুহূর্তে তাদের গ্রেপ্তার করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা প্রথমে পুলিশ ভ্যান থেকে নেমে আসা চার জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু মাত্র দুজনকে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ভ্যান থেকে একবারে ১২ জন জঙ্গি নেমে গেলে সবাইকে নেয়ার চেষ্টা করত তারা। অভিযানে জড়িত দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের পর তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও তথ্য জানা যাবে।’
সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান আরও বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত দু’জনই আনসার-আল-ইসলামের শীর্ষ পর্যায়ের জঙ্গি। যারা ২০১৬ সালে সিটিটিসি’র হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। ‘তাদের আবার গ্রেপ্তার করা আমাদের জন্য আগের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের গ্রেপ্তারের জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি। কিন্তু পুলিশের ভাষায় ‘রেড অ্যালার্ট’ বলে কোনও শব্দ আছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। জঙ্গিরা যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারে সেজন্য সব পয়েন্টে সতর্ক করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, রবিবারের ঘটনায় নতুন কোনো জঙ্গি সংগঠন জড়িত নয়।
রবিবার জাগৃতি পাবলিকেশন্সের প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের (ঢাকা সিএমএম কোর্ট) প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যায়।
পলাতক আসামিরা হলেন- আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ও মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকার শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে প্রকাশক দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে সোয়া ২ কোটি টাকার স্বর্ণের বার জব্দ
ঢাকার ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া উত্তোলনে জড়িতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট