ঢাকায় ভিয়েতনাম দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন বাস্তবায়নে পাশাপাশি অগ্রসর হবে। প্রেসিডেন্ট হো চি মিন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবে।
বাংলাদেশের জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন এবং দূতাবাসের কর্মীরা শনিবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। যিনি বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের স্থপতি।
বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন।
ভিয়েতনাম দূতাবাস জানিয়েছে, ১৯৭৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভিয়েতনাম এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। যা ঐতিহাসিক মিল এবং স্বাধীনতা, শান্তি, সহযোগিতা ও উন্নয়নের ভাগাভাগি মূল্যবোধের ভিত্তিতে দেশদুটির মধ্যে চমৎকার ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বের যুগের সূচনা করে।
দেশ দুটির মধ্যে ২০২২ সালে বাণিজ্যের পরিমাণ দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। গত ২০ বছরে একটি আকর্ষণীয় ৭৫ গুণ বৃদ্ধি এবং গত ১০ বছরে চারগুণ বৃদ্ধির রেকর্ড করেছে (২০০২ সালে প্রায় ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১২ সালে ৩৫০মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
তবে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে সংহতি ও সাহচর্যের গল্প আরও অনেক আগেই শুরু হয়েছিল।
১৯৭১ সালের মার্চে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পরপরই এটিকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ভিয়েতনাম একটি।
একইভাবে, বাংলাদেশের জনগণ ও নেতারা বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু ভিয়েতনামের জাতীয় মুক্তি, স্বাধীনতা এবং দেশের পুনঃএকত্রীকরণের সংগ্রামের প্রতি জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনামে কারাওকে বারে অগ্নিকাণ্ডে মৃত বেড়ে ৩২
বিগত ৫০ বছরে, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ধীরে ধীরে সুসংহত এবং বিশেষ করে উচ্চ-পর্যায়ের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে শক্তিশালী হয়েছে। ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রান দাই কুয়াং-এর বাংলাদেশ সফর, ২০০৪ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রান দুক লুং, ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী ভো ভ্যান কিয়েট, এবং ১৯৭৪ সালে দক্ষিণ ভিয়েতনামের প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকারের পরামর্শক পরিষদের নগুয়েন হু থু সফর করেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৫ সালে ভিয়েতনাম সফর করেন, ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ২০১৭ সালে ভিয়েতনাম সফর করেন।
সফরকালে বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়েছিল এবং সহযোগিতার প্রক্রিয়াগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যা দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর করার জন্য উল্লেখযোগ্য প্রেরণা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটের চা শিল্পের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে চায় ভিয়েতনাম