বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসি বলেছে, ‘২৫ আগস্টের পর থেকে গত চার দিনে ৩৬টি ওয়ার্ডের আওতায় ৪২ হাজার ৪৯৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১ হাজার ২৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।’
এছাড়া এই সময়ের মধ্যে ২১ হাজার ১৩৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজননস্থল হিসেবে বিবেচিত জমানো পানি পাওয়া গেছে।
ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি তার চিরুনি অভিযান কার্যক্রম এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত রেখেছে।
চিরুনি অভিযানের চতুর্থ দিনে বুধবার ডিএনসিসি ১০ হাজার ৫৭৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেছে এবং ২২৫টিতে এডিসের লার্ভা পেয়েছে।
লার্ভা পাওয়া এ সব বাড়ি ও স্থাপনায় ‘এ বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়’ লেখা স্টিকার লাগানো হয়।
এছাড়া ৬ হাজার ৩১৬টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান পাওয়া যায় এবং সেগুলো ধ্বংস করা হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলররা চিরুনি অভিযান সক্রিয়ভাবে তত্বাবধান করছেন।
এদিকে বেইজমেন্টে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসান ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মগবাজারে ‘বিশাল প্লাজা’র প্রতিনিধিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া সড়ক দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রাখায় হাউজিং কোম্পানি ‘বিটিআই’ এর প্রতিনিধিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
উত্তরায় একই অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২টি অটোমোবাইল গ্যারেজকে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে। এছাড়া এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় গুলশানে নির্মাণাধীন ভবন ‘বে ডেভেলাপারস’ এর প্রতিনিধিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।