এডিস
ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩০২৭
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪৬ জনে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩ হাজার ২৭ জন।
আরও পড়ুুন: ডেঙ্গুতে আরও ১৮ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩১২২
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৪৯ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ১৭৮ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১০ হাজার ১০২ জন রোগী। এর মধ্যে ৩ হাজার ৮১৪ জন ঢাকায় এবং ৬ হাজার ২৮৮ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯৫ জন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১ লাখ ৬২ হাজার ৮৪৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুুন: ডেঙ্গুতে আরও ১৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩০৮৪
বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৫৮
১ বছর আগে
র্যাবের নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় জরিমানা
র্যাবের নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাহানপুরের ঝিলপাড় এলাকায় র্যাব-৩ এর সদর দপ্তরের জন্য নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মজিদ অ্যাণ্ড সন্সের সাইট ইঞ্জিনিয়ার রকিবুল ইসলামকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসীফ এ জরিমানা করেন।
এছাড়াও আজ করপোরেশনের আওতাধীন ইস্কাটন গার্ডেন, বাসাবো, নাজিমউদ্দিন রোড, আলু বাজার, গোপীবাগ, গ্রিন মডেল টাউন, আমিন মোহাম্মদ হাউজিং ও কোনাপাড়া এলাকায় আরও ৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
এদিকে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো করপোরেশনের আওতাধীন ২২টি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি, ৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ৩৪টি মসজিদ, কোয়ার্টার, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও স্থানে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
আজকের অভিযানে এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জরুল হক ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ৫৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ৪টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসীফ ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহাজাহানপুরের ঝিলপাড় এলাকায় ৫৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় র্যাবের নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এ ছাড়াও দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসাবো এলাকায় ৪৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এ সময় ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিমউদ্দীন রোড এলাকায় ৬৩টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ১টি বাসাবাড়িতে সামান্য পরিমাণে লার্ভা পাওয়ায় ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলুবাজার এলাকায় ৪৭টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পায় এবং ১টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির নিজস্ব স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোপীবাগ এলাকায় ৪৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান ৭২ ও ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রিন মডেল টাউন এবং আমিন মো. হাউজিং এর ৫০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের কোনাপাড়া এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ১৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আজকের অভিযানে সর্বমোট ৩৯৬টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১৭টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৬ মামলায় সর্বমোট ২ লক্ষ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘নির্মাণাধীন ভবেন বার বার লার্ভা পেলে ভবনের কাজ বন্ধ করা হবে’
১ বছর আগে
ডেঙ্গুতে একদিনে ৪ জনের প্রাণহানি
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে আরও ৩৪৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে ২২৮ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ১১৭ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: একদিনে আরও ২৭৫ জন হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক হাজার ১১২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৩ জন ঢাকার মধ্যে এবং ২৫৯ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৯ হাজার ৯৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় সাত হাজার ২৯৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৭৯৬ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে সাত হাজার ৯৪৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ছয় হাজার ৪২৯ জন ঢাকার এবং বাকি এক হাজার ৫১৭ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
সোমবার চারজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৩৭ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: একদিনে আরও ১৪৫ জন হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ জনের প্রাণহানি
২ বছর আগে
ডেঙ্গু: একদিনে আরও ২৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৭৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে ১৯৬ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ৮৩ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ জনের প্রাণহানি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৮৮৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৭০৬ জন ঢাকার মধ্যে এবং ১৮৩ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট সাত হাজার ৬৭৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ছয় হাজার ২৪৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৪৩২ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে ছয় হাজার ৭৫৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে পাঁচ হাজার ৫২৫ জন ঢাকার এবং বাকি এক হাজার ২৩১ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যায়নি। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৩১ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন:ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
ডেঙ্গুতে আরও ২১৩ রোগী হাসপাতালে
২ বছর আগে
ডেঙ্গু: একদিনে আরও ২৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে ১৯৬ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ৪১ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: একদিনে আরও ২০১ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭১২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৬০১ জন ঢাকার মধ্যে এবং ১১১ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট পাঁচ হাজার ৯৩০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় চার হাজার ৮৮৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে পাঁচ হাজার ১৯৮ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে চার হাজার ২৭৮ জন ঢাকার এবং বাকি ৯২০ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যায়নি। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: একদিনে আরও ১৩১ জন হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু: একদিনে আরও ১৭৬ জন হাসপাতালে ভর্তি
২ বছর আগে
বৃষ্টির পর ঢাকা শহরে এডিস মশার আতঙ্ক বেড়েছে
রাজধানী ঢাকায় এডিস মশার ঘনত্ব আগের বছরের তুলনায় বেশি। আসন্ন বর্ষাকালে যা আরও বাড়তে পারে, ফলে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটতে পারে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) এর গবেষকরা আশঙ্কা করেছেন, রাজধানীতে বৃষ্টির পরে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের হার উদ্বেগজনক পরিমাণে বৃদ্ধি পেতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, গত বছর ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাবে দেশে ১০৫ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং ২৮ হাজার ৪২৯ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই রাজধানী ঢাকার নাগরিক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস ট্রান্সমিশন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের সাম্প্রতিক এক জরিপে ভয়াবহ পরিস্থিতির তথ্য উঠে এসেছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অধীনে ৯৮টি ওয়ার্ডের ১০০টি সাইটে ১০ দিনের তথ্য নিয়ে এই কীটতত্ত্ব জরিপটি পরিচালিত হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুসারে, জরিপ করতে ২১ সদস্যের একটি দল সিটি করপোরেশনের অধীনে প্রায় তিন হাজার বাড়ি পরিদর্শন করেছে। এতে ১৫০টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে, যা মোট সংখ্যার ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ।
জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস ট্রান্সমিশন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের আরেকটি দলও ঢাকায় বসবাসকারী মশার প্রজাতির সংখ্যা এবং অন্যান্য জীবাণু শনাক্ত করতে মশা ধরতে কাজ করছে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকায় মারাত্মক পোকামাকড়ের অঞ্চল ভিত্তিক ঘনত্ব জানতে ইন্সটিটিউট অফ এপিডেমিওলজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর) গবেষণা পরিচালনার পর মশার ঘনত্ব দ্বারা জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) ম্যাপিং সম্পন্ন করবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরামর্শ দিয়েছে যে ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনকে এখনই মশা নিয়ন্ত্রণ এবং মানুষের জন্য মশার আতঙ্ক রোধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা উচিত।
এতে আরও বলা হয়েছে, নগরবাসীকেও এই অভিযানে সম্পৃক্ত করা উচিত।
আরও পড়ুন: মশা নিয়ে বিড়ম্বনায় চট্টগ্রাম সিটি মেয়র
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর বসুন্ধরা, বাড্ডা, ভাটারা, কুড়িল, মিরপুর, আগারগাঁও, শ্যামলী, বনশ্রী, যাত্রাবাড়ী, মাতুয়াইল, রামপুরা, খিলগাঁও, মালিবাগ, ধানমন্ডিসহ পুরান ঢাকার অনেক এলাকা মশার উৎপাতের কেন্দ্রস্থল।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেন, বসুন্ধরা এলাকায় সারা বছরই মশা থাকলেও সিটি করপোরেশন খুব কমই লার্ভিসাইড ও অ্যাডাল্টিসাইড স্প্রে করে।
তিনি বলেন, ‘মশার কারণে আমাদের ছেলে-মেয়েরা সন্ধ্যায় ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারে না। আমরা মশার উপদ্রব থেকে পরিত্রাণ পেতে মশারি এবং কয়েল ব্যবহার করি।’
মিরপুরের বাসিন্দা মাইনুল হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশন মাঝেমধ্যে কীটনাশক স্প্রে করে, যা মশার বংশবৃদ্ধি রোধে পর্যাপ্ত নয়। সিটি করপোরেশনের উচিত এ বিষয়ে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া।
২ বছর আগে
চট্টগ্রাম নগরীর ১৫ স্পটে এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত: চবি
চট্টগ্রাম নগরীর ৯৯টি এলাকার ৫৭টি স্থানের নমুনা বিশ্লেষণ করে ১৫ স্পটে এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল।
গত ৫ জুলাই থেকে এ জরিপ পরিচালনা করে চবির গবেষক দলটি। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ না করলেও রবিবার রাতে গবেষক দলের আহবায়ক চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্যবিভাগ জানিয়েছে, সোমবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাটি চসিককে হস্তান্তর করা হবে। এটি হাতে পেলে মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরালো হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর প্রকোপ: ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ২৩৭ রোগী হাসপাতালে
গবেষক দল বলছে, চট্টগ্রাম নগরীর ৯৯টি এলাকা পরিদর্শন করে ৫৭টি স্পট থেকে গত জুলাই মাসে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে। এতে পরীক্ষা করে ১৫টি স্পটে শতভাগ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে।
তারা বলেন, নগরীতে মশার উপদ্রব বাড়ায় সিটি করপোরেশনকে কার্যকর ওষুধ নিশ্চিতকরণে সহযোগিতার উদ্দেশে একটি কমিটি গঠন করেন চবি উপাচার্য। গত ৫ জুলাই থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জরিপ চালিয়ে গবেষক দল মশার লার্ভা সংগ্রহ করে। লার্ভাগুলো লালন-পালনের পর জন্ম নেওয়া মশাগুলোর ওপর ওষুধ প্রয়োগ করে ১৫টি স্পটের নমুনায় শতভাগ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে।
এদিকে এ বছর চট্টগ্রামে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস। এরই মধ্যে এ রোগে চট্টগ্রামে দুজন মারা গেছে।
আরও পড়ুন: দেশে একদিনে আরও ২৩১ মৃত্যু, শনাক্ত ১৪, ৮৪৪
গবেষক দলের আহ্বায়ক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও প্রাণ রসায়ন এবং অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে মশা মারার ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে অনুরোধ করা হয়। এরপর তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করেন উপাচার্য।
তিনি জানান, অনেকগুলো লার্ভা লালন-পালন করে এখন মশা হয়ে গেছে। মশাগুলোর ওপর ওষুধ প্রয়োগ করে কার্যকারিতা দেখা হচ্ছে। কোন ওষুধ মশা মারার জন্য কার্যকর তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হবে। এছাড়া, কোন ওষুধ কি পরিমাণে দিতে হবে, কীভাবে ওষুধ প্রয়োগ করলে মশা নিধন সহজ হবে তা উল্লেখ করা হবে প্রতিবেদনে।
এর আগে নগরীতে মশক নিধনে ব্যবহৃত ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর গুণগত মান পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় চসিক। এর অংশ হিসেবে গত ১৪ মার্চ ব্যবহৃত ওষুধ পরীক্ষা করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতারকে অনুরোধ করে চসিক।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী জানান, এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। এরমধ্যে দু’জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ৪ সদস্য আটক: অস্ত্র, গুলি উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘মশার ওপর আমাদের যে সার্ভে হয়েছে তাতেও এডিস মিলেছে। এটা আমরা সিটি করপোরেশনকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি। তাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও ওষুধ ছিটানো জোরালো করতে বলেছি। এছাড়া নগরবাসীকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করতে বলেছি, আমরাও মাইকিং করছি। তাছাড়া উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট পাঠানো হয়েছে।’
চসিক সূত্রে জানাগেছে, প্রতিদিন চার থেকে ছয়টি ওয়ার্ডে বিশেষ টিম মশক নিধনে কাজ করবে। যে ওয়ার্ডে যেদিন অভিযান চালানো হবে সেই ওয়ার্ডের প্রত্যেকটা স্থানে মশক নিধনের অভিযান চলবে।
৩ বছর আগে
২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি নতুন ৩২৬ ডেঙ্গু রোগী
ঢাকা, ০৪ অক্টোবর (ইউএনবি)- এডিস মশার কামড় থেকে ডেঙ্গু জ্বরের শিকার হয়ে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩২৬ নতুন রোগী। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৮ জন এবং বাকিরা দেশের অন্যান্য এলাকায় ভর্তি হয়েছেন।
৫ বছর আগে
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতায় সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি টিআইবির
ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- এ বছর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
৫ বছর আগে
নতুন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে পাঁচ শর নিচে
ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।
৫ বছর আগে