জাতীয় গ্রিডে সংযোজনের জন্য হুয়াওয়ে ২০২৩ সালে একটি ১০০ মেগাওয়াট সম্পন্ন ইউটিলিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। পাশাপাশি মনপুরা উপজেলায় ২২ মেগাওয়াট আওয়ার ইএসএস সক্ষমতা সম্পন্ন বাংলাদেশের বৃহত্তম ও প্রথম মাইক্রো গ্রিড প্রকল্পও বাস্তবায়ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানের পার্টনারদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে ৭২টিরও বেশি সোলার রুফটপ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন করেছে। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালে হুয়াওয়ে ফিউশন সোলার ইনভার্টার ব্যবহার করে মোট ১৩২ মেগাওয়াট সক্ষমতার সোলার পাওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে হুয়াওয়ে।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ২০২৩ সালে নিজেদের এ অর্জন তুলে ধরেছে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া। সম্প্রতি রাজধানীতে আয়োজিত ‘হুয়াওয়ে সোলার অ্যানুয়াল সিরিমনি ২০২৩’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব অর্জন তুলে ধরে হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ের ৬২টিরও বেশি পার্টনার কোম্পানির প্রতিনিধিবৃন্দ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে
এতে আরও বলা হয়, হুয়াওয়ের বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- বুয়েট, মেঘনা গ্রুপ, আকিজ বশির গ্রুপ, রাইজিং গ্রুপ, এনভয় গ্রুপ, ফকির গ্রুপ, কাজী ফার্মস, জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (জেটিআই) এবং ওয়ালটন গ্রুপের বিভিন্ন প্রকল্প। এ সকল প্রকল্পের বাস্তবায়ন সৌর জ্বালানি খাতে হুয়াওয়ের অবদানকে তুলে ধরে।
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া ডিজিটাল পাওয়ার বিজনেস বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াং উইক্সিং (জ্যাক) বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করার যে লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়েছে তা অর্জন করতে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করছে হুয়াওয়ে। এ লক্ষ্য অর্জনে দক্ষিণ এশিয়ায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, সমাধান ও পণ্য সরবরাহ করছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে আমাদের ডিজিটাল পাওয়ার পণ্যগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আর ২০২৩ সালে আমাদের যে অর্জন তা এ জনপ্রিয়তারই প্রতিফলন। এ খাতে আরও অবদান রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিওরমেন্ট, অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন (ইপিসি) কোম্পানি ক্যাটাগরিতে পার্টনার প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছে হুয়াওয়ে। প্রকল্প সক্ষমতার ক্ষেত্রে অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করায় এ পুরস্কার অর্জন করেছে হুয়াওয়ে’র শীর্ষ ১৮টি ইপিসি পার্টনার প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের ৪ পুরস্কার অর্জন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হুয়াওয়ে সল্যুশনসের মাধ্যমে সোলার মার্কেটে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় ১০টি প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এছাড়া, অনন্য পারফরম্যানস প্রদর্শন করে ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে অবদান রাখায় দুটি ‘ডিস্ট্রিবিউটর অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়।
হুয়াওয়ে আবাসিক স্মার্ট পিভি অ্যান্ড ইএসএস সল্যুশন্স, সিঅ্যান্ডআই স্মার্ট পিভি অ্যান্ড ইএসএস সল্যুশনস এবং ইউটিলিটি স্মার্ট পিভি সল্যুশনস তৈরি করে।
এসব সল্যুশনসের আওতায়, আইপিপি, রুফটপ, ডেটা সেন্টার ও মোবাইল টাওয়ারের জন্য হুয়াওয়ের সোলার ইনভার্টার ও গ্রিন পাওয়ার সল্যুশনস রয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের প্রতিশ্রুতির উদাহরণ হলো বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির সৌর প্রকল্পগুলো। উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উদ্যোগগুলোকে সামনে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হুয়াওয়ে।
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম ৯ মাসে হুয়াওয়ের মুনাফা বেড়েছে ১৬ শতাংশ