আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেটে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হবে বলে মঙ্গলবার (১৪ মে) ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।
আগামী বাজেটেও বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করার পক্ষে মতামত দেন তিনি। চলতি অর্থবছরের মতো এবারও আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
চলতি মেয়াদের প্রথম বাজেটে নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিফলন হয় কি না তা দেখতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুত করা বাজেটে তারই প্রতিফলন ঘটেছে বলে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: আগামী বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে: সরকারি নথি
সোমবার(১৩ মে) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) বৃদ্ধি, আমদানি নিয়ন্ত্রণ, সতর্কতার সঙ্গে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, বৈধ চ্যানেলে প্রবাসীদের আয় বৃদ্ধি এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদারসহ অর্থ বিভাগ, অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী অনলাইনে সভায় সংযুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আগামী বাজেটে কালো টাকা সাদা করার বিধান রাখা নিয়ে সংকোচে অর্থ প্রতিমন্ত্রী