পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন জিএসপি প্রবিধানের অধীনে ২০২৯ সালের পরেও জিএসপি+ সুবিধার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাবিত মূল্যে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এভরিথিং-বাট-আর্মস (ইবিএ) স্কিমের জন্য বাংলাদেশকে ব্যাপকভাবে সফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ইবিএ স্কিম স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে ইইউ-তে আসা সমস্ত পণ্যের (অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাদে) আমদানির জন্য শুল্ক এবং কোটা সরিয়ে দেয়।
বাংলাদেশে ফ্রান্সের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী আলমের সঙ্গে দেখা করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত নই; যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফরাসি রাষ্ট্রদূত তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন যে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা অত্যন্ত স্পষ্ট।
প্রতিমন্ত্রী মারি মাসদুপুয়কে বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের জন্য অভিনন্দন জানান এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে তার মেয়াদে উভয় দেশই দুই দেশের মধ্যে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়কালের মতো চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে একটি উন্নয়ন সহায়তাপ্রাপ্ত দেশ থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এবং বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে বাংলাদেশের যাত্রার বর্ণনা দেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে আমরা আরও ভালোভাবে প্রস্তুত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
উভয় পক্ষ যোগাযোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি প্রযুক্তি, বিমান চলাচল ইত্যাদির দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয় এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বৈশ্বিক খাদ্য, জ্বালানি এবং আর্থিক চ্যালেঞ্জের বিষয়েও মত বিনিময় করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী মারি মাসদুপুয়কে বাংলাদেশে তার মেয়াদকালে পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: আদানির ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মার্চে জাতীয় গ্রিডে আসবে: নসরুল হামিদ