দেশের ৫ জেলার ৯টি উপজেলায় ৩২ হাজার কৃষক নির্বাচন করে ৮০০ টি গ্রুপ করে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন কৌশলের উপর প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বিল্ডিং ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্ট লাইভলিহুডস ইন ভালনারেবল ল্যান্ডস্কেপস ইন বাংলাদেশ (বিসিআরএল) প্রকল্পের ডিএই পার্ট এর আওতায় গতকাল রবিবার দিনব্যাপী ভালনারেবিলিটি রিস্ক অ্যাসেসমেন্টের উপর ন্যাশনাল ভেলিডেশন কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
কর্মশালায় জানানো হয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রযুক্তিগত সহায়তায় গ্লোবাল এনভায়নমেন্ট ফ্যাসিলিটির (জিইএফ) অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৮ সালের জুনে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) জন্য ৫৬ কোটি টাকা এবং বাকি ১০ কোটি টাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের জন্য বরাদ্দ রয়েছে।
গতকাল খামারবাড়ির তুলা ভবনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় জানানো হয়, রাজশাহীর গোদাগাড়ী, চাপাইনবাগঞ্জের নাচোল ও ভোলাহাট, খুলনার ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছা, রাঙ্গামাটির কাউখালী, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ও সদর উপজেলায় জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন কৌশলের উপর কৃষকদের প্রশিক্ষণ পরে অ্যাসেসম্যান্টের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ সরবরাহ হবে। উদ্যোক্তা ও নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। কৃষিপণ্যের নায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য মার্কেট লিংকেজ তৈরি করা হবে, ভ্যালুচেইন ম্যাপিং করা হবে।
বিসিআরএল প্রকল্প এবং কনসালটিং ফার্ম সুশীলন লিমিটেড ও স্বাবলম্বী সমাজ উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে ভালনারেবিলিটি রিস্ক অ্যাসেসমেন্টের উপর দিনব্যাপী ন্যাশনাল ভেলিডেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী।
ডিএইর পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইংয়ের পরিচালক মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের (বাকৃবি) অধ্যাপক ড. মো. রমিজ উদ্দিন।
বিসিআরএল প্রকল্পের আওতাধীন ৩টি অঞ্চল, ৫টি জেলা ও ৯টি উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিসিআরএল প্রকল্পের ডিএই অংশের কম্পোনেন্ট ডিরেক্টর ড. মোহাম্মদ লোকমান হোসেন মজুমদার।
এছাড়া এনপিডি রাজিনারা বেগম, সুশীলনের লিমিটেডের এমডি মোস্তফা বকুলুজ্জামানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।