দেশের দুটি কয়লা ভিত্তিক ও একটি এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে।
বুধবার উপস্থাপন করা টিআইবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কমপক্ষে ৩৯০ দশমিক ৪৯ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে যা সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রতিনিধি ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহল হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া এতে বলা হয়, একই ধরনের প্রকল্পের তুলনায় বিদ্যুতের দামও বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় সাবেক ডিআইজি মিজানের জামিন আবেদন খারিজ
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হলো: পাওয়ারচীন কনসোর্টিয়ামের বরিশাল ৩৫০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, এস আলম গ্রুপের বাঁশখালী এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের এসএস বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং রাষ্ট্রায়ত্ত কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির মাতারবাড়ি ৬০০ মেগাওয়াট এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।
প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় সাংবাদিকদের ভার্চুয়ালি ব্রিফিংকালে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দুর্নীতি খুঁজে বের করতে আমাদের গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা স্বীকৃত আন্তর্জাতিক মান ও অনুশীলন বজায় রেখেছি...। অভিযোগ প্রমাণের জন্য আমাদের হাতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র রয়েছে।’
টিআইবির মাহ্ফুজুল হক ও নেওয়াজুল মাওলা ‘বাংলাদেশে কয়লা ও এলএনজি বিদ্যুৎ প্রকল্প: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলবে: আপিল বিভাগ
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কোনো ব্যক্তি বা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতে যেতে চাইলে সংস্থাটি সহযোগিতা করবে।
‘টিআইবি তার নীতি ও মান অনুযায়ী এই ধরনের উদ্যোগে সহযোগিতা করবে।’ সরকার ও অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে গবেষণাটি বিনিময় করবে বলেও জানায় দুর্নীতি পর্যবেক্ষক সংস্থাটি।
জমি ক্রয় ও সরকারের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তি সই করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন-কানুন যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি বলে জানায় সংস্থাটি।