টিআইবি
বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের পতন ভারতের জন্য বড় কূটনৈতিক ধাক্কা: টিআইবি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, 'নতুন বাংলাদেশ' সম্পর্কে ভারতের নেতিবাচক মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। স্বৈরাচারী সরকারের পতন ইতিহাসে ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও কৌশলগত পরাজয় বলেও উল্লেখ করে সংস্থাটি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা মনে করি, ভারত তার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও কৌশলগত পরাজয় মেনে নিতে পারবে না। এটা স্বীকার করার সাহস তাদের নেই।'
স্বৈরাচারী শাসনের পতনের পর নতুন বাংলাদেশের প্রথম ১০০ দিন নিয়ে টিআইবির পর্যবেক্ষণ তুলে ধরতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংগঠনটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহায়তা ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমরা আশা করছি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে।’
আরও পড়ুন: হাসিনার স্বৈরতন্ত্রকে সহজতর করেছে বিচার বিভাগ: টিআইবির নির্বাহী পরিচালক
তিনি বলেন, বাংলাদেশের 'ইতিবাচক পরিবর্তনের' পর ভারত প্রত্যাশিত 'ইতিবাচক ভূমিকা' পালন করতে বা 'ইতিবাচক মনোভাব' দেখাতে পারছে না, কারণ ভারত ইতিহাসে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও কৌশলগতভাবে সবচেয়ে বড় পরাজয় মেনে নিতে পারছে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'তারা (ভারত) এখনো বাংলাদেশকে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে, যা বাংলাদেশের এই স্বৈরতন্ত্রকে সমর্থন করে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির কিছু ক্ষেত্রে (ভারতের পক্ষ থেকে) ভারতের গণমাধ্যম অনুঘটকের ভূমিকা পালনের জন্য এটি বিশাল ঝুঁকি তৈরি করেছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, অনেকের ধারণা ছিল ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গন, জনগণ ও গণমাধ্যমে 'উদার চিন্তার' প্রচার হয়। ‘আমরা মনে করি, ভারত (সেই উদার চিন্তাভাবনা থেকে) বদলে গেছে।’
তিনি বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশকে যেভাবে তুলে ধরছে তা অন্তত ঝুঁকিপূর্ণ এবং অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য 'বিরক্তির কারণ'। এটা আমাদের (বাংলাদেশ) জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তবে আমরা এটাও মনে করি যে এটি ভারতের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর এবং লজ্জাজনক। তাই ভারতকে এ পথ থেকে সরে আসতে হবে।
তিনি ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, তারা সব সময় দরজা উন্মুক্ত রাখার পক্ষে। ‘আমরা সবসময় দরজা উন্মুক্ত রাখার কথা বলি। ভারত আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী। আমরা ভারতের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। এক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়: টিআইবি
বাংলাদেশের ক্রান্তিকালে ঝুঁকি রয়েছে উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ভারতের ভূমিকা ইতিবাচক এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে খুবই নেতিবাচক হতে পারে। তিনি বলেন, 'এই ঝুঁকির কথা মাথায় রাখতে হবে।’
এর আগে অনুষ্ঠানে 'স্বৈরশাসনের পতনের পর প্রথম ১০০ দিনে নতুন বাংলাদেশ পর্যবেক্ষণ' শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাহজাদা এম আকরাম।
প্রতিবেদনে আকরাম বলেন, কর্তৃত্ববাদের পতনের বাস্তবতা মেনে নিতে এবং নিজেদের ভুল স্বীকার করতে ভারতের ব্যর্থতা এবং ভারতে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়াকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে এবং সর্বোপরি ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন সরকার ও বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে।
তিনি বলেন, ভারত সরকার, রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যম গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের বাস্তবতা মেনে নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ভারতীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলক ভুল তথ্য ও গুজব ছড়াচ্ছে।
বাংলাদেশে জোরালো প্রতিবাদ সত্ত্বেও 'সীমান্ত হত্যা' অব্যাহত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন টিআইবির এই কর্মকর্তা।
প্রতিবেদনে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোভাব ইতিবাচক।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান, রাশিয়া, চীন, ইরান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে।’
তিনি বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ডিরেক্টর মুহাম্মদ বদিউজ্জামান ও টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স ডিরেক্টর মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ-সম্পদ অবিলম্বে ফ্রিজ করুন: টিআইবি
১ মাস আগে
হাসিনার স্বৈরতন্ত্রকে সহজতর করেছে বিচার বিভাগ: টিআইবির নির্বাহী পরিচালক
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগ সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
এই ধরনের শাসনের উত্থানে সহায়তা করার জন্য গণমাধ্যমের একটি অংশেরও সমালোচনা করেন তিনি।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে আইন বিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. ইফতেখারুজ্জামান এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়: টিআইবি
টিআইবি ও সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরাম (এসআরএফ) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটি কার্যকর বিচার বিভাগের সুফল পেতে হলে রাজনৈতিক সংস্কার জরুরি। সাংবাদিকরা এই পরিবর্তনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।’
তিনি বলেন, বিচার বিভাগ এবং গণমাধ্যমের একাংশ, যাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার কথা ছিল, তারা বরং কর্তৃত্ববাদী চর্চাকে উৎসাহিত করতে জড়িত ছিল।
সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মাসুদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আদালত অবমাননার অভিযোগে করা মামলায় সাংবাদিকদের আইনি সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।
কর্মশালার লক্ষ্য ছিল সাংবাদিকদের দক্ষ করে গড়ে তুলে বিচার বিভাগের অনিয়ম উদঘাটন, আইনের গুরুত্বপূর্ণ ছেদ এবং অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ওপর গুরুত্বারোপ করা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিতে যুক্তরাষ্ট্রকে টিআইবি ও টিআই-ইউএসের যৌথ চিঠি
১ মাস আগে
বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়: টিআইবি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অবৈধভাবে অর্থপাচারের কারণে বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার হারাচ্ছে। পাচার হওয়া বিশাল পরিমাণ এই অর্থ পুনরুদ্ধারে নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উপায়’ শিরোনামে সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ-সম্পদ অবিলম্বে ফ্রিজ করুন: টিআইবি
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আর্থিক অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, 'অর্থ পাচারকারীদের অবশ্যই পরিণতি ভোগ করতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ এজেন্সিগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’
তিনি বলেন, সরকার আর্থিক অপরাধ রোধে প্রচেষ্টা শুরু করেছে, একটি টেকসই চোরাচালানবিরোধী ব্যবস্থা বিকাশের জন্য নাগরিক সমাজ এবং রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী অ্যাডভোকেসি প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিগত বছরগুলোতে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী সরকারের প্রভাবে অর্থপাচার কার্যক্রম উপেক্ষা করার অভিযোগ ছিল।
তবে তিনি স্বীকার করেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচার করা অর্থ উদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। তবে এটাকে ভবিষ্যতের জন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থায় পরিণত করতে হবে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান ভুয়া কোম্পানিকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করেন। তবে এ বিষয়ে কার্যকরি পদক্ষেপ না নেওয়ার সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘আইএমএফ ভুয়া ও কাগজসর্বস্ব কোম্পানিকে ঋণ দেওয়া বন্ধের শর্ত দিলেও এই প্রথা অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভুয়া স্কিমে কাগজসর্বস্ব কোম্পানির কাছে ইসলামি ও অন্যান্য ব্যাংকের তহবিল খোয়া গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে; যা বাংলাদেশ ব্যাংক তখন থেকে স্বীকার করেছে।’
এদিকে সব শর্ত পূরণকারী অনেক বৈধ কোম্পানি ঋণ পেতে হিমশিম খাচ্ছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
এছাড়া সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমেদ এবং অর্থনীতিবিদ ও অ্যাস্ট্রা গ্যাটাকা ওপেনহেইমারের প্রতিষ্ঠাতা নঈম চৌধুরী বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএফআইইউ-দুদকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ঢেলে সাজানো অপরিহার্য: টিআইবি
সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপর আহ্বান টিআইবির
১ মাস আগে
মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে: টিআইবি
মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও সুশাসন নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
রবিবার ঢাকাসহ সারাদেশে ৪৫টি স্থানে একযোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে ১১ দফা দাবি তুলে ধরে টিআইবি।
এতে বলা হয়, মানবাধিকারের গুরুতর ও ব্যাপক লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। গুরুতর নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছেন বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বিচারে ক্ষমতার অপব্যবহার, সার্বিকভাবে সুশাসনের অভাব এবং ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ, জনস্বার্থ থেকে বিচ্ছিন্ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিবর্জিত এবং সীমাহীন দুর্নীতিতে জর্জরিত শাসন ব্যবস্থা এই বিশৃঙ্খলার মূল কারণ।
এ প্রেক্ষাপটে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন।
অনতিবিলম্বে এসব দাবি মেনে নিতে হবে এবং কোনো বিলম্ব না করে সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রোডম্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
দাবিগুলো হলো-
১. বহুমাত্রিক ও বহুপর্যায়ের নজিরবিহীন ও নির্মম মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য তদন্ত নিশ্চিতে জাতিসংঘের উদ্যোগে সম্পূর্ণ স্বাধীন কমিশন গঠন করার মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. ভবিষ্যতে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে আইন-প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনের শাসনের সঙ্গে জড়িত সব প্রতিষ্ঠান তথা সার্বিক রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজাবার জন্য জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৩. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিককে হয়রানি ও নির্মম নিপীড়ন এখনই বন্ধ করতে হবে। আটক সব সমন্বয়ক, শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিককে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে ও সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৪. বেআইনি, নির্বিচার ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অতিরিক্ত, অসামাঞ্জস্যপূর্ণ প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহারসহ বিভিন্নভাবে যারা নির্মম হতাহতের জন্য দায়ী এবং যাদের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বপ্নকে পদদলিত করে নজিরবিহীন এই নির্মমতা সংগঠিত হয়েছে তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
৫. জাতির ইতিহাসের নজিরবিহীন এই অধ্যায়ে নিহত-আহত সবার বয়স ও পেশা অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে।
৬. আহত সবার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা, পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন নিশ্চিত করতে হবে।
৭. হতাহত সবার পরিবারের জন্য সম্মানজনক ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি পুনর্র্বাসন প্রক্রিয়া প্রকাশ করতে হবে।
৮. অবাধ তথ্যপ্রবাহের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও ডিজিটালসহ সব গণমাধ্যমের প্রতি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সব ধরনের হুমকি, নিষেধাজ্ঞা ও নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার এবং বন্ধ করতে হবে। ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ওপর সব নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করতে হবে।
৯. সহিংসতা দমন বা অন্য কোনো অজুহাতে, ভিন্নমত দমনের হঠকারি-প্রক্রিয়া থেকে এখনই সরে আসতে হবে। ভিন্নমত, বাক্স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিপন্থী নজরদারিভিত্তিক ভীতিকর পরিবেশ, তথা জনগণের জন্য নিরাপত্তাহীনতার বোধ সৃষ্টির সংস্কৃতি পরিত্যাগ করতে হবে।
১০. এই মুহূর্ত থেকে সব অসত্য বয়ান ও মিথ্যাচার বন্ধ করে, দেশবাসীর মানবাধিকার, ন্যয়বিচার ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
১১. দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার ফাঁকাবুলির সংস্কৃতি পরিহার করে উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতির বিচারহীনতা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৪ মাস আগে
দুর্নীতির অভিযোগে বদলি-বরখাস্ত ও অবসরে পাঠানোর পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়: টিআইবি
সরকারি চাকরিতে দুর্নীতি রোধে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, বদলি, বরখাস্ত ও বাধ্যতামূলক অবসরের মতো পদক্ষেপগুলো অপর্যাপ্ত প্রতিবন্ধক এবং অজান্তেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি লালন করতে পারে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশাসনিক পদক্ষেপের পরিবর্তে দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও পুলিশের মতো সংস্থায় দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বদলি বা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বদলি বা অবসরের মতো প্রশাসনিক পদক্ষেপ আশাব্যঞ্জক মনে হলেও তাতে দুর্নীতির মূল কারণগুলো যথাযথভাবে তুলে ধরা হয় না।’
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, এই ধরনের পদক্ষেপ এমন একটি চক্রকে স্থায়ী করতে পারে, যেখানে কঠোর আইনি পরিণতির অভাবে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে থাকে না।’
তিনি সরকারি চাকরি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার সংশোধনী তুলে ধরে বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের জবাবদিহিতা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে তুলেছে।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীরের ব্যাপক দুর্নীতির জবাবদিহিতা দাবি করেছে টিআইবি
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এ ধরনের আইনি ফাঁকফোকরগুলো আইনের দৃষ্টিতে সমতার সাংবিধানিক নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগে ন্যূনতম শাস্তির ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা একটি ক্ষতিকর বার্তা দেয়।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এটি ইঙ্গিত দেয় যে কিছু ব্যক্তি আইনের ঊর্ধ্বে, যা জনগণের আস্থা কমায় এবং নৈতিক শাসনের ভিত্তিকে নষ্ট করে।’
দুর্নীতি দমনে রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে ড. ইফতেখারুজ্জামান ক্ষমতার ঊর্ধ্বে উঠে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের আহ্বান জানান।
রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রাতিষ্ঠানিক আঁতাতসহ দুর্নীতির বিকাশ ঘটায় এমন পদ্ধতিগত বিষয়গুলোর দায়িত্ব নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
টিআইব প্রধান বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতারা জবাবদিহিতা এড়িয়ে গেলে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি কার্যকরভাবে রোধ করা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নৈতিক মান বজায় রাখতে, আমাদের এমন দৃঢ় পদক্ষেপ দরকার যা স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার প্রতি সত্যিকারের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।’
দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সত্যিকারের প্রতিরোধের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন, যা অপরাধের তীব্রতাকে প্রতিফলিত করে। যাতে এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে অসদাচরণ রোধ করা যায়।
আরও পড়ুন: কালো টাকা সাদা করার বাজেট প্রণয়ন অসাংবিধানিক ও দুর্নীতিবান্ধব: টিআইবি
৫ মাস আগে
কালো টাকা সাদা করার বাজেট প্রণয়ন অসাংবিধানিক ও দুর্নীতিবান্ধব: টিআইবি
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনায় নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) এক বিবৃতির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ বাতিল করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
টিআইবি জানায়, মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার এই ব্যবস্থা সৎ ও বৈধ আয়ের ব্যক্তি করদাতাকে নিরুৎসাহিত করার সংস্কৃতি গড়ে তুলবে। ঘোষিত অর্থ ও সম্পদের ব্যাপারে কোনো কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন করার সুযোগ না রাখা দেশে দুর্নীতিবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলবে বলে আশঙ্কা করছে টিআইবি।
একইসঙ্গে, ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনি ইশতেহারে দেওয়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার অঙ্গীকারকে প্রহসনে পরিণত করা হবে বলে জানায় এ সংস্থা।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “‘ডেটা ভেরিফিকেশন সিস্টেম বা ডিভিএস’ চালু করার ফলে অপ্রদর্শিত অর্থ ঘোষণায় আইনি জটিলতা এবং করদাতাদের অজ্ঞতার দোহাই দিয়ে যেভাবে ‘অপ্রদর্শিত অর্থে’ ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট বা জমি কেনা বৈধ করার ঢালাও সুযোগ দেওয়া হলো- তা সত্যিই হতাশার।”
কালো টাকা সাদা করার সুযোগের মাধ্যমে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনে সরকারিভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিপরীতে সৎ করদাতাদের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ করের বিধান বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘বিষয়টি একজন সুনাগরিকের প্রতি বৈষম্যমূলক, একইসঙ্গে তা সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। এ প্রক্রিয়ায় নৈতিক আপস করে প্রত্যাশিত রাজস্ব আদায়ের স্বপ্ন স্বল্প কিংবা দীর্ঘমেয়াদে কখনোই বাস্তবায়িত হবে না।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘শুভবুদ্ধি, দূরদৃষ্টি, সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যাহার করে নেবে- এমনটাই আশা।’
এছাড়াও দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে কালো টাকার মালিকদের সম্পদের উৎস অনুসন্ধানের মাধ্যমে কার্যকর জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
৬ মাস আগে
সাবেক আইজিপি বেনজীরের ব্যাপক দুর্নীতির জবাবদিহিতা দাবি করেছে টিআইবি
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র্যাব প্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সোমবার (৩ জুন ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এই উদ্বেগ প্রকাশ করে।
টিআইবি জোর দিয়ে বলেছে, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের লাগামহীন ক্ষমতার অপব্যবহার 'ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের মতো ব্যক্তিত্ব' তৈরি করে এবং রাষ্ট্রীয় জবাবদিহিতাকে ক্ষুণ্ন করে। সংস্থাটি এ ধরনের নির্যাতনে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে সাবেক পুলিশ প্রধান যাদেরকে নিজেদের জমি বিক্রি করতে বাধ্য করেছিল- সেইসব লোকদের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, সাবেক আইজিপি ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে জমি বিক্রি করতে মানুষকে বাধ্য করেছিলেন। মূলত তিনি প্রথমত সংখ্যালঘুদের বেছে নিয়েছিলেন। আর এই কাজগুলো করার জন্য তিনি নিজের এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সংস্থার কর্মীদের নিয়োগ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে জোরপূর্বক সম্পত্তি অর্জন করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারের সম্ভাবনা কৌশলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে মূল অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন:অনলাইনে জুয়া-বেটিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচারের মহোৎসবে টিআইবির উদ্বেগ
সাবেক আইজিপির দুর্নীতি নিয়ে চলমান তদন্তে তার অবৈধ সম্পদ সম্পর্কে নতুন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এসব গুরুতর অভিযোগের পরও কীভাবে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ইফতেখারুজ্জামান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিদেশে অর্থ পাচারে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশ বা সহায়তায় সাবেক পুলিশ প্রধান দেশ ছাড়ার আগে ব্যাংক থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করেছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ন্যায়বিচার হলে শুধু সাবেক আইজিপি নয়, যারা তাকে সহযোগিতা করেছেন তাদেরও বিচার করতে হবে।
তিনি সাবেক পুলিশ প্রধানের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন। এটি সরকারের সম্পৃক্ততা বা তার দুর্নীতির সক্রিয় উৎসাহের ইঙ্গিত দেয়।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শনের জন্য সকল দুর্নীতিবাজ ব্যক্তির নাম প্রকাশ এবং জড়িত সকলের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছে ডিইউজে-ডিআরইউ ও টিআইবি
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে সরকারের দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টাকে নিছক নাটকীয়তা হিসেবে গণ্য করা হবে।
এতে আরও বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের কাছে সব দুর্নীতিবাজের তথ্য আছে। এ ধরনের স্বীকৃতি বিরল হওয়া সত্ত্বেও একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা কীভাবে দুর্নীতির এমন সুস্পষ্ট সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, তা সরকারকে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে।’
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শনের জন্য দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ ও এর সঙ্গে জড়িত সবার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। এটি করতে ব্যর্থ হলে নাগরিকদের মধ্যে নিছক নাটকীয়তা হিসাবে এই ধারণাটি আরও দৃঢ় হবে।’
আরও পড়ুন: সবুজ জলবায়ু তহবিলের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে বঞ্চিত: টিআইবি
৬ মাস আগে
এমপিদের ব্লক বরাদ্দ: জনগণের অর্থের ‘অপব্যবহার’ ও 'অপচয়' নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যদের ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণার পর, সরকারি অর্থের অপব্যবহার ও অপচয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
একই সঙ্গে বরাদ্দ দেওয়া অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) টিআইবির এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের বিষয় প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হলফনামায় প্রার্থীদের সম্পদের সত্যতা ও সম্পদের বৈধতা যাচাইয়ের আহ্বান টিআইবির
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, প্রত্যেক সংসদ সদস্য তাদের নির্বাচনি এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পাঁচ বছরে ২০ কোটি টাকা করে নিতে পারবেন।
এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান।
২০২০ সালের ১২ আগস্ট ‘সংসদীয় আসনভিত্তিক থোক বরাদ্দ: অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক টিআইবির গবেষণায় দেখা যায়, এই প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় পর্যায়ে অনেক স্কিমের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও স্কিম পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ঠিকাদার ও তদারকি কর্তৃপক্ষের পারস্পরিক যোগসাজশ এবং কমিশন বাণিজ্যের ফলে স্কিমের কাজের মান প্রত্যাশিত পর্যায়ের ছিল না এবং অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে জনগণের অর্থের অপচয় হয়েছে এবং স্বার্থান্বেষী মহল লাভবান হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সময়ের সঙ্গে সংসদীয় আসনভিত্তিক থোক বরাদ্দ বাড়লেও তার সঠিক ব্যবহার ও সুশাসন নিশ্চিতের উদ্যোগ বরাবরই উপেক্ষিত রয়ে গেছে। কেননা সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্যই অনুমোদিত কাজের অগ্রগতি তদারকি ও অভিযোগ নিষ্পত্তির একক দায়িত্বে থাকেন।
একইসঙ্গে, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির জন্য বিভিন্ন অনিয়মকে প্রশ্রয় দেন সদস্যদের একাংশ। ফলে এইসব কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্য 'জনমতের প্রতিফলন': বিএনপি
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই প্রকল্প সংসদ সদস্যের একাংশের জন্য স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি ও অনৈতিকভাবে আর্থিক সুবিধা অর্জনের পথ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে আসছে। ফলে এ ধরনের প্রকল্প অনিয়ম-দুর্নীতিকে স্থানীয় পর্যায়ে স্বাভাবিকতায় পরিণত করেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হচ্ছে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ২০২০ সালের গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ করেছিল টিআইবি। কিন্তু এই সুপারিশমালা আমলে নিয়ে সংসদ সদস্যদের থোক বরাদ্দ ব্যবহারে সুশাসন নিশ্চিতে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, প্রকল্প ও স্কিমসমূহে কার্যকর তদারকি এবং প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সততা ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট অবশ্য পালনীয় আচরণবিধি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অপরিহার্য।
নতুন করে থোক বরাদ্দ কার্যক্রম শুরুর আগের বরাদ্দগুলোর নিবিড় ও নিরপেক্ষ নিরীক্ষার দাবি জানাচ্ছে টিআইবি।
একইসঙ্গে, প্রকল্পের স্কিমসমূহ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।
আরও পড়ুন: টিআইবির গবেষণা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পড়ে না: আরাফাত
১০ মাস আগে
২০২৩ সালের দুর্নীতির সূচকে ২ ধাপ পেছাল বাংলাদেশ
দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই)-২০২৩ অনুযায়ী ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ দুই ধাপ পিছিয়ে ১৪৯তম স্থানে নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ধানমন্ডি কার্যালয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতির ধারণা সূচক-২০২৩, বাংলাদেশ ১০০ -এর মধ্যে ২৪তম স্কোর পেয়েছে।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, সিপিআই অনুযায়ী ২০২২ সালের তুলনায় এ বছর বাংলাদেশের স্কোর এক পয়েন্ট কমে ২৪- এ দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: হলফনামায় প্রার্থীদের সম্পদের সত্যতা ও সম্পদের বৈধতা যাচাইয়ের আহ্বান টিআইবির
ক্রমানুসারে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান যৌথভাবে ১০তম এবং আরোহণক্রমে ১৪৯তম।
জরিপের ফলাফলে ১০০ এর মধ্যে ৯০ স্কোর নিয়ে ডেনমার্ককে সর্বনিম্ন দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসাবে তালিকার শীর্ষে রাখা হয়েছে।
এছাড়া ৮৭ স্কোর নিয়ে ফিনল্যান্ড দ্বিতীয় ও ৮৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড।
এদিকে সবচেয়ে কম ১১ স্কোর পেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সোমালিয়া।
এদিকে ১৩ স্কোর নিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া ও ভেনেজুয়েলা।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের পারফরম্যান্স হতাশাজনক ও বিব্রতকর।’
এদিকে সরকার এই প্রতিবেদনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিহিত কর প্রত্যাখান করেছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্য 'জনমতের প্রতিফলন': বিএনপি
টিআইবির গবেষণা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পড়ে না: আরাফাত
১০ মাস আগে
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্য 'জনমতের প্রতিফলন': বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) বক্তব্যকে 'জনমতের প্রতিফলন' বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নতুন কর্মসূচি দিয়ে রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে তাদের দল।
আরও পড়ুন: বিএনপির নতুন কর্মসূচি আসছে: রিজভী
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্যের বিরোধিতা করে মন্ত্রীদের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কে না বলেছে এই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি? সবাই বলেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। সুতরাং টিআইবি যা বলেছে তা জনমতের প্রতিফলন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি যা বলছে তাও জনমতের প্রতিফলন। ‘তাই বিএনপির পছন্দ অনুযায়ী টিআইবি এটা (নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি) বলেনি। তারা যা বলেছে তা বাস্তবতা।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: মঈন খান
এর আগে গত বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে একতরফা বলে মন্তব্য করে টিআইবি বলেছিল, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ চেহারা দিতে সাজানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে তাদের গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করে বলেছে, এ ধরনের নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে দেশি-বিদেশি সংগঠনগুলোর মতামতের প্রশংসা করেন নজরুল। তিনি বলেন, 'নিরপেক্ষভাবে বলতে গেলে, বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে যারা কথা বলবেন আমরা তাদের স্বাগত জানাব। আমরা কী বলি সেটা গুরুত্বপূর্ণ, মানুষ কী বলছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: টিআইবি বিএনপির ‘দালাল’: কাদের
তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারকে পছন্দ করে না, যারা বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। যারা অন্যায়, স্বৈরাচার, দমন-পীড়ন ও ভোট চুরির সমালোচনা করেন তাদেরও ধন্যবাদ জানাই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন তা আওয়ামী লীগ সরকার আবার ধ্বংস করেছে। ‘সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে চলমান আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচি আমরা আপনাদের জানাব।’
নজরুল ইসলাম বলেন, জিয়াউর রহমান বাকশালের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন এবং খালেদা জিয়া এরশাদের সামরিক স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করছি। জিয়াউর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা নতুন করে শপথ নিয়েছি, এ দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের সহযোগিতায় যত দ্রুত সম্ভব আমরা দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব।’
আরও পড়ুন: বিএনপির চাওয়ায় দেশের অমঙ্গল হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার নানা কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। তিনি ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন এবং দেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল সেনা কর্মকর্তার হাতে নিহত হন জিয়া।
১১ মাস আগে