নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, আসন্ন সিটি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে, তবে তারা আগামী সাধারণ নির্বাচনে তাদের ব্যবহারের বিষয়ে নিশ্চিত নন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বরিশাল, গাজীপুর, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা এ মন্তব্য করেন।
সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বছর অনুষ্ঠিতব্য পাঁচ সিটি নির্বাচনে আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করব।
তিনি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে। জাতীয় নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তবে ভবিষ্যতে কী হবে তা বলতে পারছি না। তবে এ বিষয়ে আমাদের ইতিবাচক মানসিকতা রয়েছে।’
কর্পোরেশনের পাঁচ বছরের মেয়াদের শেষ ১৮০ দিনের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন করতে ইসি আইনত বাধ্য।
আরও পড়ুন: অর্থ ছাড়ের ওপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের ভাগ্য ঝুলছে: ইসি সচিব
ইসিকে ১১ মার্চ থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন, ১৩ এপ্রিল থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে খুলনা সিটি করপোরেশন ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন, ১৪ মে থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং ৬ মে এবং ৫ নভেম্বরের মধ্যেসিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন করতে হবে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতা তালুকদার আব্দুল খালেক ২০১৮ সালের ১৫ মে খুলনা সিটির এবং একই বছরের ২৬ জুন জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর সিটির মেয়র নির্বাচিত হন।
আওয়ামী লীগ নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী যথাক্রমে রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনটি নির্বাচনই ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইভিএম হচ্ছে শতভাগ স্বচ্ছতার প্রতীক: চুয়াডাঙ্গায় ইসি হাবিব