‘আমি কী পাপ করেছি যে এত বড় শাস্তি পেলাম! সব শেষ হয়ে গেল।’
শুক্রবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গের সামনে এভাবেই আহাজারি করছিলেন বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত পপি আক্তারের মা বাসনা।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে তার মেয়ে ও দুই নাতি-নাতনি মারা যান।
নিহতরা হলেন- পপি (৩০), তার মেয়ে আর্দিতা (১২) ও ছেলে সান (৭)।
বাসনা বলেন, তার মেয়ে তার দুই নাতি-নাতনিকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছিল। তার দুই নাতি-নাতনি রেস্টুরেন্টে খাওয়ার বায়না ধরেছিল।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ইতালি প্রবাসী পরিবারের মর্মান্তিক মৃত্যু
সন্ধ্যায় রাজধানীর শান্তিবাগের বাসা থেকে বের হন তারা। বেইলি রোডের একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন তারা।
অগ্নিকাণ্ডের পর বাসনা ও তার জামাই ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের খুঁজে পাননি। এরপর রাতে মর্গে যান তারা। পরে জানতে পারেন তার মেয়ে ও দুই নাতি-নাতনি মারা গেছে।
তিনি মর্গের সামনের ফ্লোরে বসে বার বার বলেন, ‘লাশ যেন না লুকায়। আমি যেন দেখতে পাই।’
তার সঙ্গে থাকা স্বজনরা জানান, আগুনের সূত্রপাত হলে পপি তার স্বামী শিপন পোদ্দারকে ফোন করে জানান। এরপর আর কোনো সন্ধান না পেয়ে ছুটে আসেন ঢামেক হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন