কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বুধবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশব্যাপী ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী ‘তিস্তা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি অবরোধ করেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা। এতে করে চতুর্থবারের মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করলেন তারা।
এর আগে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থীর জমায়েত হয়। শিক্ষার্থীরা মিলনায়তনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে, যা বাকৃবির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জব্বারের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এরপর তারা জব্বারের মোড় সংলগ্ন এলাকায় ‘তিস্তা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি অবরোধ করেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ট্রেনটিতে থাকা শত শত যাত্রী।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কার চেয়ে এক দফা দাবি জানান।
তারা বলেন, ‘সরকারি চাকরির ৯ম থেকে ২০তম সব গ্রেডে বৈষম্যমূলক সব কোটা বাতিল করে শুধুমাত্র অনগ্রসর গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ রাখতে হবে।’
বাকৃবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. ইরান মিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ কোটাপ্রথা নামক বৈষম্যের বিরুদ্ধে এক দফা দাবিতে সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছে। এই কর্মসূচির আওতায় রয়েছে সড়কপথ ও রেলপথ। আমরা বাকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচির সঙ্গে সর্বসম্মতভাবে একাত্মতা পোষণ করেই রেলপথ অবরোধ করেছি।’
এ সময় শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কোটা সংস্কার সংক্রান্ত দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে। চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করে মেধাবীদের বঞ্চিত করলে এদেশের ছাত্রসমাজ কখনও মেনে নেবে না।