বুধবার এ বিষয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় খুব সহজ ও প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যবহারযোগ্য সকলের উপযোগী একমাত্র মাধ্যম মোবাইল ব্যাংকিং (এমএফএস)। মোবাইল ব্যাংকিং ক্ষেত্রে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে দ্বিতীয়। চলতি বছরের আগস্টে এ সেবায় লেনদেন হয়েছে ৪১ হাজার কোটি টাকা। এ সেবার সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সাথে আন্তঃসংযোগ বা আন্তঃলেনদেন চালুকরণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও, বাংলাদেশ ব্যাংকের কারিগরি ত্রুটির কারণে আজ তা সম্ভব হচ্ছে না।’
মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরও বলেন, ‘এ সেবা মূলত বিকাশ, ইউ ক্যাশ, ই ওয়ালেট ও পূবালী ব্যাংকে লেনদেন হবার কথা ছিল। বাকি ব্যাংক আগামী বছর ৩০ মার্চের মধ্যে এ সেবায় যুক্ত হওয়ার কথা। আমরা এ সেবাকে স্বাগত জানালেও মূলত দুটি বিষয় আমাদেরকে ভাবাচ্ছে। প্রথমত, এই সেবার সার্ভিস চার্জ। এ সিস্টেমের লেনদেনের জন্য সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক হিসাব মতে এমএফএস হিসাবে এবং এমএফএস হিসাব মতে অর্থ স্থানান্তরে উভয়ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট এমএফএস প্রোভাইডার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের লেনদেনে অর্থের ০.৪৫% ফি প্রদান করবে। দ্বিতীয়ত, এমএফএস প্রোভাইডারের হিসাব মতে অন্য এমএফএস প্রোভাইডারের (পি টু পি) হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রাপক এমএফএস প্রোভাইডার থেকে প্রেরক প্রোভাইডারেকে সাকুল্যে লেনদেন অর্থের ০.৮০% প্রদান করবে। অর্থাৎ হাজারে ৮ টাকা প্রদান করতে হবে। উক্ত লেনদেনের জন্য পূর্বের চার্জ বলবৎ থাকবে।’
‘মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সার্ভিস চার্জ এমনিতেই অনেক বেশি তারপর নতুন করে লেনদেনের ক্ষেত্রে এই ধরনের সার্ভিস চার্জ যুক্ত হলে এ সেবা মূলত মুখ থুবড়ে পড়বে। পাশাপাশি গ্রাহকদের গলাকাটা হবে,’ বলেন তিনি।
সকল দিক বিবেচনায় আন্ত:মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চার্জ প্রত্যাহার এবং একইসাথে এ লেনদেনের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।